শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ চান ডিসিরা

এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2013, 02:04 PM
Updated : 23 July 2013, 02:04 PM

মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিবেশনের তারা এই দাবি জানান।

অধিবেশন শেষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদে ক্ষমতাবাদ ও স্থানীয়দের হস্তক্ষেপ নিয়ে তারা (ডিসি) কথা বলেছেন।

“পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে কঠোর অবস্থান নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা। আমরা তা করার চেষ্টা করছি।”

এ ছাড়া দক্ষ ও যোগ্যদের স্বচ্ছতার সঙ্গে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেয়ারও সুপারিশ এসেছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতার বিষয়ে জেলা প্রশাসকরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি দক্ষ ও যোগ্যরা যাতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পায় সে ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেছেন তারা।

মিড-ডে মিল চালুর ফলে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমেছে বলেও জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা।

বই বিতরণ, পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, “আমরা পরীক্ষাগুলোকে আরো উন্নত করতে চাই। এজন্য ১০ লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। সরকারি হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষকের ২১৪টি শূন্য পদ পূরণ করা হবে।

তবে বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকদের সন্তানদের কোটার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান নুরুল ইসলাম নাহিদ।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী আফছারুল আমিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা আলাউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষা সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী আখতার হাসেন উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে শিক্ষা মন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নে জেলা প্রশাসকদের সহায়তা চান।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সম্পর্কিত অধিবেশেনে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রগুলোকে তথ্য প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পরিণতের উদ্যোগ, ভূমির স্বল্পতার প্রেক্ষাপটে উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের জন্য বহুতল ভবন নির্মানের উদ্যোগ নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সম্পর্কিত অধিবেশনে সমতল ভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য আয় বর্ধনমূলক প্রকল্প নেয়া ও তা বাস্তাবায়ন করা হবে বলে ওই জানানো হয়েছে।