মুজাহিদের রায় ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদের মামলার রায়কে কেন্দ্র করে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2013, 09:17 AM
Updated : 16 July 2013, 09:17 AM

জামায়াতের ‘গুরু’ গোলাম আযমের রায়ের দুদিন পর বুধবার দলটির বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলার রায় হতে যাচ্ছে।  

রায়ের দিন হরতাল ডেকেছে জামায়াত। গোলাম আযমের মামলার রায়ের দিন হরতালের পর রায় প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবারও একই কর্মসূচি ডাকে দলটি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের উপ নিবন্ধক অরুণাভ চক্রবর্তী মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রায়কে কেন্দ্র করে যে কোনো ‘অপ্রীতিকর’ পরিস্থিতি এড়াতে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা জোরদারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করা হয়েছে।

“তারা ট্রাইব্যুনালকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছেন।”

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের পুরনো হাই কোর্ট ভবনে স্থাপিত ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের বিচার চলছে।  

মঙ্গলবার হাই কোর্ট এলাকা ঘুরে পুলিশের সতর্ক অবস্থান দেখা যায়। সকাল থেকেই দোয়েল চত্বর সংলগ্ন হাই কোর্ট এলাকায় প্রবেশপথে ব্যারিকেড ছিল।

ওই সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করায় পথচারীদের সমস্যায়ও পড়তে হয়েছে। 

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন রিকশায় করে জাতীয় প্রেসক্লাবের দিকে যাওয়ার পথে দোয়েল চত্বরে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হঠাৎ করেই পুলিশি এই রাস্তাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। রোজার মধ্যে যানজট পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়েছে।”

“তারপরও যদি জনগণ প্রত্যাশিত রায় পেত, এসব ভোগান্তি মেনে নেয়া হত,” গোলাম আযমের কারাদণ্ডের রায়ের অসন্তাষ প্রকাশ করলেন জুবায়ের।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক, প্রসিকিউটর, তদন্ত কর্মকর্তা, সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিষয়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব উপ পুলিশ কমিশনার (সদর) আনোয়ার হোসেন বলেন, রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পুলিশ হাই কোর্ট এলাকায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।

যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশের প্রস্তুতি সর্বোচ্চ বলে জানান তিনি।