এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে সরকারী পরিকল্পনায় সরকার নির্দেশিত ছকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়ার ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের প্রতিবাদে আগামীকাল ১৭ জুলাই বুধবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করছি।”
জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের রায় ঘোষণার দিন সোমবার ও রায়ের প্রতিবাদে মঙ্গলবারও হরতাল করে জামায়াত। একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরাধিতাকারী দলটি বুধবারও হরতাল ডাকায় টানা তিনদিন হরতালের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে মানুষকে।
এর আগে জামায়াতের তিন নেতা কাদের মোল্লা, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের রায়ের দিন ও পরের দিন হরতাল করে জামায়াত।
সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হলে সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা ঘটানো হয়। রেলপথ ধরে এবং বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে শুরু হয় নাশকতা। পুলিশ, সরকারি কার্যালয় এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অফিসও তাদের হামলার শিকার হয়। এক সপ্তোহের সহিংসতায় পুলিশসহ নিহত হন ৭০ জনেরও বেশি মানুষ।
আর ‘জামায়াতগুরু’ গোলাম আযমের রায়কে কেন্দ্র করে সোম ও মঙ্গলবার হরতালের মধ্যে তাণ্ডব-সহিংসতায় নিহত হয়েছেন অন্তত নয়জন।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের মতো সাতটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে ।
তার রায়কে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ট্রাইব্যুনাল ঘিরে গত রোববার থেকেই নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা।
গোলাম আযমের রায়ের আগের দিন শাহবাগে ফিরে আসা গণজাগরণমঞ্চের কর্মীরা মুজাহিদের রায়ের আগে মঙ্গলবার রাতেও প্রজন্ম চত্বরে থাকবে বলে জানিয়েছে।