মন্ত্রীর দাবি, ট্রাইব্যুনালের বিচারের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।
“আদালত রায়ের বিষয়ে কারণ দিয়েছে, বয়স বিবেচনা করেই গোলাম আযমের এ রায় দিয়েছে, আর্ন্তজাতিক নিয়ম অনুযায়ী এ রায় দেয়া হয়েছে।”
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল-১ এর রায়ে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে পাঁচ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এসব অপরাধের প্রত্যেকটিতে তিনি সর্বোচ্চ সাজা পাওয়ার যোগ্য হলেও বয়স ও স্বাস্থ্য বিবেচনায় তাকে মোট ৯০ বছর সাজা অথবা ‘আমৃত্যু’ জেল খাটতে হবে।
এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রসিকিউশন ইতোমধ্যে জানিয়েছে, রায়ের কপি হাতে পেয়ে তারা আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আপিলের কথা বলেছে আসামিপক্ষও।
আর যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলো রায় প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে। গোলাম আযমের মুক্তির দাবিতে তার দল জামায়অতও একই কর্মসূচি দিয়েছে।
রায়ে সরকার সন্তুস্ট কি না জানতে চাইলে আইন মন্ত্রী বলেন, ট্রাইব্যুনালের রায় সবাইকে মেনে নিতে হবে।
কোনো ধরনের সমঝোতার ভিত্তিতে এ রায় দেয়া হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আইন মন্ত্রী বলেন, “এ ধরনের কোনো সমঝোতা হয়েছে বলে আমার মনে হয় না।”
শফিক আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধের বিচারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের ‘আন্তরিবতার অভাব’ নেই।
সরকারের এ মেয়াদে রায় কাযকর করা যাবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “প্রত্যেক সরকারের দায়িত্ব বিচার কার্যকর করা। আইনের শাসনকে বিশ্বাস করলে, তা সুপ্রতিষ্ঠিত করে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সুবিচার নিশ্চিত করা যে কোনো সরকারের দায়িত্ব।”
গোলাম আযমের রায় নিয়ে সরকার আপিল করবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নির্ভর করছে প্রসিকিউশনের ওপর।
এই রায় অন্যান্য দেশের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, অসন্তুষ্ট হওয়ার মতো কিছু তিনি দেখছেন না।
“বয়স বিবেচনা করেই এ রায় দেয়া হয়েছে, গোলাম আজমকে মোট ৯০ বছর সাজা খাটতে হবে।”
এ সরকারের মেয়াদেই কিছু রায় কার্যকর করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।