যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালে বিএনপি-জামায়াত জোটের নাশকতার চেষ্টার কথা তুলে ধরে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, এই বিচারকে কেন্দ্র করে দেশে অনেক ‘সহিংসতা ঘটানোর’ চেষ্টা করা হয়েছে। জাতিকে ‘বিভ্রান্ত করার’ চেষ্টা করা হয়েছে।
“গোলাম আযমের ভূমিকা ও কার্যকলাপ যে বাংলাদেশবিরোধী তা আজ আদালতে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।”
এই রায় নিয়ে ‘কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা’ না করারও আহ্বান জানান হানিফ।
জামায়াতে ইসলামীর মুক্তিযুদ্ধকালীন আমির গোলাম আযমের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল-১ এর রায়ে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে পাঁচ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড মিলিয়ে তাকে টানা ৯০ বছর সাজা অথবা ‘আমৃত্যু’ জেল খাটতে হবে।
এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রসিকিউশন ইতোমধ্যে জানিয়েছে, রায়ের কপি হাতে পেয়ে তারা আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আপিলের কথা বলেছে আসামিপক্ষও।
আর যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলো রায় প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আন্তর্জাতিক আপরাধ ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছে তা ‘জনগণের প্রত্যাশা’ পূরণ না করলেও তাতে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি যুদ্ধে’ একধাপ অগ্রগতি হয়েছে।
“ট্রাইব্যুনাল গোলাম আযমকে স্বাধীনতাবিরোধী হিসাবে চিহ্নিত করলেও তার বয়স বিবেচনায় নিয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়নি। তবে যে রায় দেয়া হয়েছে তাতে দেশবাসী শান্তি পাবে।”
তবে বিএনপি-জামায়াত আবারো দেশের ক্ষমতায় এলে এই দণ্ডিত আসামিরা মুক্তি পেয়ে যাবে বলেও জনগণকে হুঁশিয়ার করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা নাসিম।
তিনি বলেন, “জনগণকে সজাগ থাকতে হবে। কোনো ভুল করলে তার খেসারত জনগণকেই দিতে হবে।”