কোটা বাতিলের দাবি মেনে নিন: ফখরুল

সরকারি চাকরির কোটা পদ্ধতি বাতিলে আন্দোলনকারীদের দাবি বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 July 2013, 01:15 PM
Updated : 11 July 2013, 03:00 PM

একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলার’ নিন্দা জানিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘ সরকার তাদের অপশাসনের ফলস্বরূপ জনবিস্ফোরণ দেখে এতোটাই বেসামাল হয়ে গেছে যে, বিরোধী দলকে দমনের পাশাপাশি কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া বিবেচনায় না এনে তাদের ওপর পুলিশ এবং যুবলীগ ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়েছে।”

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশি তৎপরতার  নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন,  “এটা শুধু সরকার ন?য়, গোটা জাতির জন্য লজ্জাজনক। আমরা তাদের দাবি বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ‘হামলার ঘটনায়’ দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেয়ারও দাবি জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।

দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা সরকারের এহেন আচরণকে কেবল অদূরদর্শীতাই বলব না, এটি রাষ্ট্র ও জনপ্রশাসনকে মেধাশূন্য করার এক সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ।’’

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে সরকার শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চকে ‘পৃষ্ঠপোষকতা’ দিলেও কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরতদের দমন করতে একই স্থানে পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।

সোমবার ৩৪ তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর তা নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। পরে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মুখে বুধবার ওই ফলাফল পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেয় পিএসসি।

কিন্তু সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবারও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ ছাড়াও বিক্ষোভকারীরা উপাচার্যের বাসভবন, প্রক্টর কার্যালয়ে ভাংচুর করে।

এ সময় চারুকলার শিক্ষার্থীদের তৈরি করা মঙ্গল শোভাযাত্রার শোলার পাখি ও টেপাপুতুলেও আগুন ধরিয়ে দেয় কোটাবিরোধী বিক্ষোভকারীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী বলেছেন, ফল পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্তের পরও এই আন্দোলন দাবি আদায়ের জন্য নয়, বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশে ‘অস্থিতিশীলতা’ তৈরির জন্য।

এই আন্দোলনে জামায়াত-শিবিরের ইন্ধন রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ ও ‘ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ নামের দুটি সংগঠন।