এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ২৫ অগাস্ট দিন রেখেছেন তিনি।
আসামিদের ‘হত্যা এবং আলামত গোপনের’ দায়ে অভিযুক্ত করার পাশাপাশি ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ছাত্র আল আমিনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে ২০ জনের বিরুদ্ধে।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি আনন্দ চন্দ্র বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ৬০ আসামির মধ্যে ৩০ জন জামিনে রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে ৫ জন কারাগারে, ২৫ জন পলাতক।
জামিনে থাকা ও গ্রেপ্তার আসামিরা অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে অব্যাহতি চাইলেও বিচারক তা নাকচ করে দেন।
আসামিদের অব্যাহতির আবেদনে আইনজীবী মশিউর রহমান বলেন, “ঘটনার সময় নয় জন পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তারা ঘটনার সময় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন। তাদের কেন আসামি করা হলো না?”
আসামিদের অন্য আইনজীবীরা বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যা ছিল না। হত্যার উদ্দেশ্যও তাদের ছিল না। ডাকাত সন্দেহে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সুতরাং আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আসতে পারে না।
২০১১ সালের ৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে আমিন বাজারের বড়দেশী গ্রামসংলগ্ন কেবলার চরে ঢাকার ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এরা হলেন মিরপুর সরকারী বাংলা কলেজের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল, তৌহিদুর রহমান পলাশ ও কামরুজ্জামান কান্ত, তেজগাঁও কলেজের টিপু সুলতান, বিইউবিটির ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব এবং ধানমন্ডির ম্যাপললিফের এ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম শাম্মাম।
সে সময় তাদের সঙ্গে থাকা আল আমিন নামে একজন প্রাণে বেঁচে যান।
পরে বিচার বিভাগীয় তদন্তে আল আমিনসহ নিহত ছাত্ররা নিরপরাধ প্রমাণিত হন। ডাকাত সন্দেহে ছাত্র হত্যা করায় সাভার থানা পুলিশ মামলা দায়ের করে, যাতে গত ১৩ জানুয়ার ৬০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় র্যর্যাব।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা আমিনবাজারের বড়দেশি গ্রামে ছয়জনকে পিটিয়ে হত্যা করেছ।
মামলার ৬০ আসামির মধ্যে ১৪ জন ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে হাকিমের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয়েছে ৯৬ জনকে। আলামত দেখানো হয়েছে ১১টি।
বিচার বিভাগীয় তদন্তে আল আমিনসহ নিহত ছাত্ররা নিরপরাধ প্রমাণিত হলেও স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী মালেক ডাকাতির অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন। অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় ওই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগে বাদির মালেকের বিরুদ্ধে মামলা করারও নির্দেশ দেয় আদালত।