শনিবার চট্টগ্রাম সমিতির ঢাকা কার্যালয়ে ফোরামের জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে এই আহ্বান জানানো হয়।
জামায়াতের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামকে নিষিদ্ধের দাবিও জানিয়েছেন ফোরামের অন্যতম নেতা কে এম সফিউল্লাহ।
তিনি অনুষ্ঠান শেষে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জামায়াত-শিবিরের নতুন প্রতিকৃতি হেফাজতে ইসলাম।
“তাই তাদের দেশ থেকে বিতারিত করতে প্রয়োজনে একটি নতুন যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে,” বলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন ‘এস’ ফোর্সের অধিনায়ক ও দেশের প্রথম সেনাপ্রধান।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী, মুক্তিবাহিনীর উপ-অধিনায়ক এ কে খন্দকার বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হলে যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, আন্দোলন চলবে।
“রাজনীতি থেকে ধর্মের অপব্যবহার দূর করতে হলে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার বিকল্প নেই।
কেননা তারা ক্ষমতায় এলে কোনো অবস্থায় মানবতাবিরোধীদের রায় মেনে নেবে না। বরং অন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বাধাগ্রস্ত করবে।”
এ কে খন্দকার আশা প্রকাশ করেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুতই শেষ হবে।
গোলাম আযমের রায়ে দেরি হওয়ার বিষয়ে কে এম সফিউল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধে কোনো অপকৌশল জনগণ মেনে নেবে না।
“আশা করছি, জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে বিবেচনায় নিয়ে আদালত খুব দ্রুত সাক্ষ্য-প্রমাণ দেখে তার রায় দেবে।”
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, “২০০৪ সালে আমরা জামায়াত বাদে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে সেক্টর কমান্ডার্সদের পক্ষ থেকে ডেকেছিলাম।
“কিন্তু সব দল এলেও জামায়াতের সঙ্গ ছেড়ে বিএনপি আমাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। এটাই প্রমাণ করে বিএনপি জামায়াতে ইসলামের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক।”