শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর স্যাটেলাইট টাউন হাই স্কুল কেন্দ্রে উপস্থিত হলেও তখন ভোট দেননি বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থী বুলবুল।
গত নির্বাচনে লিটনের কাছে পরাজিত বুলবুলের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী, ছেলে এবং সাবেক মেয়র বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিনু।
বুলবুল সাংবাদিকদের বলেন, তার ‘বড় ভাই’ লিটনের জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি। তার সঙ্গে ভোট দেবেন তিনি।
বুলবুল কেন্দ্রে যাওয়ার ১৫ মিনিট পর সেখানে যান আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও বিদায়ী মেয়র লিটন। মা, স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে কেন্দ্রে যান তিনি।
ভোট দেয়ার পর তারা দুজনেই সাংবাদিকদের সামনে একসাথ হন। তাদের সঙ্গে মিনুও ছিলেন।
লিটন ও বুলবুল উভয়ই বলেন, দুজনই সমৃদ্ধ রাজশাহী গড়ার স্বপ্ন দেখেন। রাজশাহীর উন্নয়নে তারা একসঙ্গে কাজ করবেন।
বুলবুল বলেন, “লিটন ভাইয়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই।”
বুলবুলের বিষয়ে একই কথা বলেন লিটনও।
লিটন ও বুলবুল আলাদাভাবে সাংবাদিকদের বলেন, জয়ের বিষয়ে দুজনই আশাবাদী।
জনগণের ভোটে পরাজিত হলে তা মেনে নেবেন বলে জানান লিটন।
অনিয়মের কোনো অভিযোগ রয়েছে কি না- জানতে চাইলে বুলবুল সাংবাদিকদের বলেন, “আমি এই একটি কেন্দ্রই এখন পর্যন্ত দেখেছি। সুতরাং এখনি কিছু বলতে পারছি না। দুপুরের পর আপনাদের কিছু বলতে পারবো।”
তবে মিনু বলেন, কয়েকটি কেন্দ্রে তাদের পোলিং এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছে।
রাজশাহীতে ভোটার ২ লাখ ৮৬ হাজার ৯১৭ জন। এর মধ্যে নারী ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫২২ এবং পুরুষ ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৫ জন।
১০টি সংরক্ষিত এবং ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্র ১৩৭টি, ভোটকক্ষ ৮৭১টি।
মেয়র পদে লিটন ও বুলবুলসহ প্রার্থী তিনজন। সাধারণ ওয়ার্ডে ১৫৫ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৬৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র পদে ক্ষমতাসীন মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের প্রতীক তালা।
আর সাবেক জামায়াত কর্মী হাবিবুর রহমান লড়ছেন চশমা প্রতীক নিয়ে।
রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার এ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।