এছাড়া তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। বেকসুর খালাস দেয়া হয় নয়জনকে।
বুধবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ এস. এম. সোলায়মান এই রায় দেন।
দণ্ডিত আটজনের মধ্যে সাতজন পলাতক রয়েছেন বলে আদালতের অতিরিক্ত পিপি সীতারাণী দেবনাথ জানান।
এদিকে সবার মৃত্যুদণ্ড না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কালিদাসে বড়ালের স্বজনরা।
দণ্ডিতরা হলেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার রহমতপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকীর দুই ছেলে মো. আলমগীর সিদ্দিকী ও নাছির সিদ্দিকী, বড়বাড়িয়া গ্রামের মো. আতিয়ার রহমান দফাদারের ছেলে সাঈদুল ইসলাম ওরফে সাঈদ ফকির, ঘোলা গ্রামের আব্দুল হক কাজীর ছেলে সাইফুর রহমান ওরফে বাবলু কাজী এবং কলাতলা গ্রামের সোনা মিঞা সরদারের ছেলে স্বপন।
এদের মধ্যে আলমগীর সিদ্দিকী ছাড়া বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলেন চিতলমারীর রহমতপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকীর ছেলে শওকত সিদ্দিকী, বাগেরহাট সদরের চরগাঁ গ্রামের হাশেম মোল্লার ছেলে বাবলু মোল্লা ও সুলতানপুর গ্রামের আব্দুল হাই এর ছেলে মানিক। এরা সবাই পলাতক।
অতিরিক্ত পিপি সীতারাণী দেবনাথ জানান, ২০০০ সালের ২০ অগাস্ট সকালে বাগেরহাট শহরের সাধনা মোড়ে দুর্বৃত্তরা কালিদাস বড়ালকে গুলি করে হত্যা করে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের পরদিন নিহতের স্ত্রী হ্যাপি বড়াল পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
বিচার চলাকালে অছিকার রহমান নামে এক আসামির স্বভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এবং পিটুনীতে নিহত হন চার আসামি আব্দুর রশিদ ওরফে তাপু ওরফে মামুন, জুয়েল শিকদার ওরফে রাসেল, কবির ডাকুয়া ও তুষার মোল্লা।
কালিদাস বড়ালের স্ত্রী হ্যাপি বড়াল এবং বড়ভাই ও বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক বড়াল বলেন, রায়ে বেকসুর খালসপ্রাপ্তরাও শাস্তিরযোগ্য।
তাদের শাস্তি চেয়ে উচ্চতর আদালতে তারা আপিল করবেন বলেন জানান।