গার্মেন্ট কারখানার নিরাপত্তার বিষয়ে এক যুগেও হাই কোর্টকে প্রতিবেদন দিতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।
Published : 24 Apr 2013, 03:12 PM
উভয় রিটে বাদীপক্ষে থাকা মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংগঠনটির লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড পলিসি রিফর্ম ইউনিটের জ্যেষ্ঠ উপ-পরিচালক অ্যাডভোকেট আবু ওবায়দুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০০১ সালের ৩১ মে হাই কোর্ট এক আদেশে গার্মেন্টগুলোর তদারকির জন্য জাতীয় কমিটি গঠন করতে বলে। প্রায় একযুগেও সেই কমিটি হয়নি।”
তাজরীনের ঘটনার পর দ্বিতীয় রিটটি করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ব্লাস্ট, নিজেরা করি ও ব্র্যাক।
ওবায়দুর রহমান বলেন, “ওই রিটের রুলে জাতীয় কমিটি গঠনে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, উচ্চ আদালত তা জানতে চায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত বিবাদীরা ওই রুলের জবাব দেয়নি।”
গত বছরের ২৬ নভেম্বর দেয়া ওই আদেশের লিখিত অনুলিপিও ইতোমধ্যে বের হয়ে গেছে।
এই রিটের সাত বিবাদীর মধ্যে কেবল তাজরীনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুলের জবাব দিয়েছেন। অপর বিবাদীরা হলো- শিল্প সচিব, শ্রম সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রধান কারখানা পরিদর্শক, বিজিএমইএর সভাপতি ও ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক।
দ্বিতীয় রিটের আদেশে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নেতৃত্বে এক বা একাধিক প্যানেল কমিটির প্রস্তাবনা দিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও বেলার প্রধান নির্বাহীকে অনুরোধ করে আদালত। এ জন্য আদালত ১০ দিন সময়ও দেয়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল-আমিন সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত এই ধরনের কোনো জবাব পাইনি। তাদের জবাব আসলে আদালত কমিটি গঠন করে দিতো বলেই আমার ধারণা।”
১৯৯৭ সাল ও ২০১২ সালে ওই দুটি রিট হয় মূলত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়। এ জন্য অগ্নি-নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়েই আদেশ হয়। স্পেকট্রাম কারখানা ধ্বসের পর ভবন ধ্বস নিয়েও একটি রিট হয়েছিলো। প্রাথমিক শুনানি করে ২০০৫ সালেই এই রিটেও রুল জারির পাশাপাশি কিছু অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ এসেছিল। তবে রিটটির নিষ্পত্তি এখনো হয়নি।
তাজরীনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১১২ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হন ৮০ জনের মতো গার্মেন্ট কর্মী।