বিসমিল্লাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডিকে দুদকে তলব

ছয়টি ব্যাংক থেকে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে সরানোর অভিযোগে বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা সোলায়মান আনোয়ার চৌধুরী এবং চেয়ারম্যান নওরীন হাবিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2013, 11:45 AM
Updated : 23 April 2013, 11:45 AM

দুদক কার্যালয়ে আগামী ৮ মে তাদের হাজির হতে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

কমিশন চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পাশাপাশি আরো ১০ জনকে তলব করেছে।

তারা  হলেন- পরিচালক আবিদা হাসিব, মো. মাঈন উদ্দিন, মঈনুল উদ্দীন ইসহাক, নাহিদ আনোয়ার খান, সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, সারোয়ার জাহান, উপব্যাবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজিজ মুত্তাকী, জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (হিসাব) মো. আবুল হাসান চৌধুরী, টি ডাব্লিউ প্রেসের কর্ণধার মো. মাঈনুদ্দীন, নেটওয়ার্ক ফ্রেইম সিস্টেমের চেয়ারম্যান আখতার হোসেন।

ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে প্রাইম ব্যাংক থেকে ৩৮০ কোটি টাকা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ১৪৯ কোটি টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে ৮০ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংক থেকে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা, যমুনা ব্যাংক থেকে ১৬৪ কোটি টাকা এবং সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে ২৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বিসমিল্লাহ গ্রুপের বিরুদ্ধে।

সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে এই দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি তদন্তে নামে দুদক।

উপপরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে প্রধান করে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি অনুসন্ধান দল গঠন করে দুদক। এই দলের অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারী উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম, উপসহকারী পরিচালক গুলশান আরা প্রধান, উপসহকারী পরিচালক সরদার মঞ্জুর আহমেদ এবং উপসহকারী পরিচালক মো. আল আমিন।