লাভালিনকে বাদ দেয়ায় বিশ্ব ব্যাংককে সাধুবাদ দুদকের

কানাডীয় কোম্পানী এসএনসি লাভালিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় বিশ্ব ব্যাংককে সাধুবাদ জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) চেয়ারম্যান গোলাম রহমান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2013, 11:20 AM
Updated : 18 April 2013, 11:20 AM

পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুনীতির অভিযোগে কানাডীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার কথা বুধবার জানায় বিশ্ব ব্যাংক।

এর প্রতিক্রিয়ায় দুদক চেয়ারম্যান বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, “এদের(এসএনসি লাভালিন) কারণেই পদ্মা সেতুর কাজ বিলম্বিত হয়েছে, বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বিলম্বের জন্য মূলত দায়ী এসএনসি লাভালিন। বিশ্ব ব্যাংককে সাধুবাদ জানাই, তারা এরকম একটি পদক্ষেপ নিয়েছে।”

প্রকল্পে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য লাভালিন বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের ঘুষ সেধেছিল দাবি করে বিশ্ব ব্যাংক। এনিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর বাংলাদেশ বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। 

বিশ্ব ব্যাংকের তোলা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অনুসন্ধানের পর রাজধানীর বনানী থানায় সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা করে দুদক। ওই মামলায় এসএনসি লাভালিনের কানাডা শাখার কর্মকর্তা মো. ইসমাইল, রমেশ শাহ ও কেভিন ওয়ালেসকেও আসামি করা হয়।

বিশ্ব ব্যাংকের অভিযোগ এবং কানাডীয় পুলিশের তদন্তের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে রমেশ শাহ-এর ডায়েরি, যাতে ‘সম্ভাব্য ঘুষ বণ্টনের তালিকা’ রয়েছে বলে বলা হচ্ছে।

দুদক চেয়ারম্যান জানান, রমেশের কথিত ডায়েরিটি এখনো দুদকে না পৌঁছলেও কানাডা সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “কানাডার আদালতে যে প্রাথমিক শুনানি হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কমকর্তা উপস্থিত ছিলেন। তিনি আমাদের সব তথ্য জানাচ্ছেন। চূড়ান্ত শুনানির আগে দুদকের পক্ষ থেকে দু জন প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত থাকবেন।”

কানাডীয় আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে এই মুহূর্তে শুনানির বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়া সম্ভবপর নয়, বলে জানিয়েছেন গোলাম রহমান।

এদিকে দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর তদন্ত প্রতিবেদনের আংশিক(বাংলাদেশ অংশ) কমিশনে জমা পড়েছে। প্রতিবেদনের বাদবাকি অংশ (কানাডা) সম্পূর্ণ করতে দুদকের প্রধান কৌসুলি আনিসুল হক এবং উপপরিচালক মির্জা জাহিদুল আলমের কানাডা যাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

গোলাম রহমান বলেন, “পদ্মা প্রকল্পে দুনীতির ষড়যন্ত্র এবং এর পরবতী ঘটনাবলির কারণে অনেক কালক্ষেপণ হয়েছে। এতে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি দেশের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিকভাবে যে কোনো প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে এই অভিজ্ঞতা(পদ্মা প্রকল্প) একটা শিক্ষা হয়ে থাকবে।”