‘লুঙ্গিমার্চের’ পর এবার হাই কোর্টের রুল

রাজধানীর গুলশান বারিধারা আবাসিক এলাকায় লুঙ্গি পরে রিকশা চালকদের প্রবেশ বন্ধ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।

সুলাইমান নিলয়বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 April 2013, 08:32 AM
Updated : 16 April 2013, 09:29 AM

সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আমলে নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করেন।

দুই সপ্তাহের মধ্যে বারিধারা সোসাইটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, পুলিশের গুলশান অঞ্চলের ডিসি ও গুলশান থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত রায় শুনানি করেন।

গত ৩ এপ্রিল ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন আমলে নিয়েই আদেশ দিয়েছে আদালত।

ওই প্রতিবেদনের বলা হয়, বাংলাদেশের ঐহিত্যবাহী পোশাক লুঙ্গি পরা রিকশা চালকদের বারিধারায় প্রবেশে বাধা দেয়া হচ্ছে, যার আশেপাশেই কূটনীতিক ও বিত্তশালী মানুষ থাকেন।

সম্প্রতি বারিধারা আবাসিক সোসাইটি লুঙ্গি পরে আবাসিক এলাকায় রিকশা চালানোসহ চলাফেরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর প্রতিবাদে ১৩ এপ্রিল ‘লুঙ্গিমার্চ’ করেন কয়েশ’ তরুণ-তরুণী।

সোশ্যাল মিডিয়ায়ও এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।

অনেকেই ফেইসবুকে বারিধারা সোসাইটির সমালোচনা করে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। কেউ কেউ বলেছেন, সংবিধানে লুঙ্গি পরা যাবে না, কিংবা কে কি পোশাক পরবে এ নিয়ে কোথাও কোন ধরনের বিধান নেই। কোনো এলাকায় লুঙ্গি পরে চলাফেরা করা যাবে না, এটা বলার এখতিয়ার কারো নেই।

মঙ্গলবার একজন রিকশা চালকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, পেটের তাগিদে তাকে রিকশা চালাতে হচ্ছে। তাদেরকে যেভাবে বলবে সেভাবেই রিকশা চালাতে তারা বাধ্য!

ফরহাদ মিয়া নামে ওই রিকশা চালক বলেন, “আমি ১২০ টাকা দিয়া প্যান্ট কিনছি। তয় বেশিক্ষণ এইডা পইরা থাকতে পারি না। আরাম নাই। গরম লাগে।”

লুঙ্গি পরা রিকশা চালকদের এলাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের দেয়া বারিধারা বাড়ি মালিকদের সংগঠন বারিধারা সোসাইটির নির্দেশনায় বলা হয়, বারিধারায় প্রবেশ করতে হলে ট্রাউজার পরতে হবে।