সাপ্তাহিক ছুটি আবার একদিন করার চিন্তাভাবনা থেকে সরে এসেছে সরকার।
Published : 03 Apr 2013, 11:02 AM
সরকারের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানায়, সরকারি ছুটি একদিন করার প্রস্তাবে সায় দেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারের ভেতর আলোচনার পর এই সংক্রান্ত একটি সার সংক্ষেপ বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যায় বলে কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
ঊর্ধ্বতন সরকারি সূত্রটি বলছে, অনানুষ্ঠানিক প্রস্তাবটি সরকারের উচ্চপর্যায়ের সাড়া না পেলেও সিদ্ধান্ত হয় যে, প্রয়োজনে সপ্তাহান্তে কাজ করে হরতালের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া হবে। দু’দিনের ছুটিতে অভ্যস্ততার বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়া হয় ছুটি কমানোর উদ্যোগ নাকচ করতে।
ছুটি কমানো হলে শনিবার দিনও বিরোধী হরতাল দিতে পারে-এই বিবেচনাটিও কাজ করেছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়।
হরতালের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সাপ্তাহিক ছুটি কমানোর প্রস্তাব করে সার সংক্ষেপ পাঠানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।
ইতোমধ্যে ব্যাংকের যে সব শাখায় বৈদেশিক লেনদেন হয় সে সব শাখা শনিবার খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
স্বাধীনতার পর দেশে সাপ্তাহিক ছুটি ছিল একদিন এবং তা রোববার। এরশাদ আমলে সাপ্তাহিক ছুটি রোববারের পরিবর্তে প্রথমে শুক্র ও শনিবার করা হয়। পরে তা শুধু শুক্রবার করা হয়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের (১৯৯৬-২০০১) সময়ে সাপ্তাহিক ছুটি পুনরায় দুদিন করা হয়।
বিশ্বের প্রায় সব দেশে সাপ্তাহিক ছুটি রোববার হওয়ায় দুদিন ছুটিতে সমস্যার কথা বলে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা।
কারণ শুক্র ও শনিবার দেশে ছুটি এবং তার পরদিন অন্যান্য দেশে ছুটি হওয়ায় বিভিন্ন পর্যায়ের কাজ সারতে তিনদিনের বিচ্ছিন্নতায় পড়তে হচ্ছে সবাইকে।