মঙ্গলবার দুপুরে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এই মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক রফিক উল্লাহ খান বলেন, “মুক্তচিন্তা অবরুদ্ধ করার ষড়যন্ত্র হিসেবে ব্লগারদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
অবিলম্বে তিন ব্লগারের মুক্তি দাবি করেন তিনি।
এছাড়া মানববন্ধনে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক আফসারুল আলম, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শিশির ভট্টাচার্য, সাংবাদিকতার শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস, ছাত্র মৈত্রীর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক উন্মেষ রায়, শহীদ জাহানার ইমাম স্কোয়াডের সংগঠক মনিরুদ্দীন আহমেদ তপু ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, “ব্লগারদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের লেখনির জন্য, হুমায়ুন আজাদকে হত্যা করা হয়েছিল তার শব্দ, বাক্য ও চিন্তা প্রকাশ করার জন্য। প্রত্যেকের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে- মতামতের বিপরীতে ভিন্ন মতামত থাকলে তা প্রকাশ করা যেতে পারে। কিন্তু গ্রেপ্তার করা যায় না।”
এর মধ্য রাষ্ট্র মৌলবাদী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ছাত্রনেতা উন্মেষ রায় বলেন, “রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও স্থাপনায় হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা যায় না। যারা তার বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।”
মনিরুদ্দীন তপু বলেন, “গ্রেপ্তার ব্লগারদের যেভাবে গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। আজ তাদের কম্পিউটার ও মডেম জব্দ করা হয়েছে কালকে আমার-আপনার পকেটের কলম ও মগজ জব্দ করা হবে।”
মানবন্ধন থেকে গ্রেপ্তার ব্লগারদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করা হয়।