‘রাষ্ট্রদ্রোহিতার’ দায়ে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ দাবি

দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর-মন্দিরে হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সাংবাদিক মঞ্চ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2013, 07:00 AM
Updated : 29 March 2013, 07:32 AM
শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। এতে রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা যোগ দেন।

সেইসঙ্গে দেশব্যাপী শহীদ মিনারে হামলা ও জাতীয় পতাকা পোড়ানোর অপরাধে জামায়াত-শিবিরকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতার’ দায়ে নিষিদ্ধ করা, হিন্দুদের উপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশসহ সাত দফা দাবি জানানো হয়। 

দাবি আদায়ে আগামী ১০ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। 

সমাবেশে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে)একাংশের মহাসচিব আব্দুল জলিল ভুঁইয়া বলেন, “দেশব্যাপী হিন্দু জনগোষ্ঠীর উপর জামায়াত-শিবিরের যে নির্মম নির্যাতন চলছে তার বিরুদ্ধে আজ সাংবাদিক সমাজ রুখে দাঁড়িয়েছে।

“যতোদিন এই নির্যাতন বন্ধ ও অপরাধীদের কঠোর হস্তে দমন করা না হবে, ততোদিন সাংবাদিকরা রাজপথে সোচ্চার থাকবে।”

তেল-গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘ধর্মব্যবসায়ী’ জামায়াত-শিবির দেশের ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলমানের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, সংখ্যালঘু নির্যাতনের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে।

“অতীতে জামায়াত-শিবির একই ঘটনা ঘটালেও সরকার এই মৌলবাদী চক্রকে নিষিদ্ধ না করে দেশকে বিপন্ন করে তুলছে।”

পিটিবি নিউজ২৪.কম এর প্রধান সম্পাদক আশীষ কুমার দে’র সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন)এর সংগঠক মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার সাহা, খুলনা বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরামের সহসভাপতি তপন বিশ্বাস, সাংবাদিক রাকিবউদ্দিন, বিভাস বাড়ৈ, আজিজুল পারভেজ, মামুন ফরাজী, এহসান রফিক ও অপূর্ব কুমার।

সমাবেশ পরিচালনা করেন জনকন্ঠ’র স্টাফ রিপোর্টার রাজন ভট্টাচার্য।

পরে শহীদ মিনার থেকে একটি ‘প্রতীকী শান্তি পদযাত্রা’ বের করা হয়, যা জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।