দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অধ্যাপক জামাল নজরুলের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চবি উপাচার্যসহ সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় চবি গণিত ও ভৌতবিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ খ্যাতিমান এ বিজ্ঞানীর প্রয়াণে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, “প্রকৃতি শূন্যস্থান পছন্দ করে না। নিয়মের মধ্যে শূন্যস্থান তৈরি হয়ে আবার তা ভরাট হয়ে যায়। কিন্তু জামাল নজরুল ইসলামদের মতো মানুষের শূণ্যতা কখনো পূরণ হওয়ারর নয়।”
তিনি আরো বলেন, গণিত ও ভৌত বিজ্ঞান গবেষণায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং সারাদেশের জন্য জামাল নজরুল ইসলাম ছিলেন পথিকৃৎ।
গণিত ও ভৌত বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক এবং খ্যাতিমান এই বিজ্ঞানীর সহকর্মী অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুর চৌধুরী বলেন, অফুরন্ত জ্ঞানের ভাণ্ডার থাকায় তাকে প্রফেসর ইমেরিটাস করা হয়।
“স্যারের জীবনযাপন প্রক্রিয়া অনুসরণ করার মতো। তিনি অসম্ভব ভালো মানুষ ছিলেন। গবেষণার বাইরে তিনি দেশ এবং দেশের নিম্নআয়ের মানুষদের নিয়ে গভীরভাবে ভাবতেন।”
অধ্যাপক জামাল নজরুল সম্পর্কে চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী আশরাফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুধু গণিত ও ভৌত বিজ্ঞানে নয় অর্থনীতি বিষয়েও বিশেষ জ্ঞান ছিল তার।
প্রয়াত এই পদার্থবিজ্ঞানী-জ্যোতির্বিদকে ‘বিশেষ সম্মানিত ব্যক্তি ,পন্ডিত এবং জ্ঞানী’ বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।
শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে জীবনাবসান ঘটে অধ্যাপক জামাল নজরুলের। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
রোববার বাদ আছর নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে গরীবুল্লাহ শাহ মাজার কবরস্থানে দাফন করা হবে।