বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মাঈনুদ্দিন রুহি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমাদের আন্দোলন নবী-রসুলের (সা.) অবমাননাকারী ব্লগার নাস্তিকদের বিরুদ্ধে। তারা না আসলে চট্টগ্রামের গণমঞ্চের সমাবেশে আমরা বাধা দিতে যাব না। ঢাকা থেকে আসা কোনো মেহমান যাতে মঞ্চের অনুষ্ঠানে বক্তব্য না দেয় সেটি আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ আমাদের এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে।”
যদি ‘নাস্তিক ব্লগাররা’ কেউ সেখানে বক্তব্য দেয়, তাহলে জামাল খান রোডের গণমঞ্চ ঘেরাও এবং ‘প্রয়োজনে’ আগামী রোববার হরতাল দেয়া হবে বলেও হুমকি দেন হেফাজতে ইসলামের এ নেতা।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগে গণজাগরণ আন্দোলনের সূচনা ঘটে। পরে তা অন্য জেলাগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে এবং চট্টগ্রামেও গণজাগরণ মঞ্চ গঠিত হয়।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকেই জামাল খানে প্রেসক্লাবের সামনে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচি চলে আসছে। আর আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে ১৩ মার্চ চট্টগ্রামে সমাবেশ ডাকা হয়েছিল ঢাকার শাহবাগ থেকে।
হেফাজতে ইসলামীর হরতাল এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা মিলিয়ে উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে চট্টগ্রামের সমাবেশ স্থগিত করে গণজাগরণ মঞ্চ। এরপর হেফাজতে ইসলামও তাদের হরতাল প্রত্যাহার করে নেয়।
গণ জাগরণমঞ্চের সংবাদ সম্মেলনের কিছু আগেই জামালখান রোডের প্রেস ক্লাবের সামনের সমাবেশস্থলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদেই বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকেছে চট্টগ্রামের গণজাগরণ মঞ্চ।
তবে শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের নেতারা জানিয়েছিলেন, তারা সমাবেশ না করলেও ১৩ মার্চ চট্টগ্রামে আলেম-ওলামাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
সে অনুযায়ী ১৩ মার্চ সকালে শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক ডা. ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ও ব্লগারদের একটি দল চট্টগ্রামের পথে যাত্রাও করে। তবে ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ ফেনী থেকে পুলিশ তাদেরকে ঘুরিয়ে দেয়।