শাহবাগে জেগেছে নারী

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শাহবাগ যেন হয়ে উঠেছে নারী জাগরণেরই প্রতীক। হাজারো নারীর স্লোগানে প্রকম্পিত পুরো এলাকা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 March 2013, 04:49 AM
Updated : 8 March 2013, 04:50 AM

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় নারীদের এই জাগরণ সমাবেশ।

সমাবেশ পরিচালনা করছেন কানিজ আকলিমা চিনু।  

একাত্তরে নির্যাতিত নারীদের সম্মানে শুক্রবার বিকেলে প্রজন্ম চত্বরে এই সমাবেশের ঘোষণা থাকলেও দুপুর ১টার পর থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সেখানে জড়ো হতে শুরু করেন নানা শ্রেণি পোশার মানুষ।

তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় নারী আর শিশুদের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি।

শাহবাগ থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক শহীদুল ইসলাম জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা বয়সী নারীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে গণজাগরণ মঞ্চে আসতে শুরু করে। অনেকের মাথায়ই জাতীয় পতাকা আর যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি সম্বলিত ব্যান্ড দেখা গেছে।

জাদুঘরের ঠিক সামনে টিএসসিমুখী মঞ্চের আশপাশের এলাকা বিকাল ৩টার আগেই পূর্ণ হয়ে যায়।

এদিকে শাহবাগে জাহানারা ইমামের প্রতকৃতির পেছনে চলছে লাল সবুজের বিশাল পতাকায় আলোকচিত্র প্রদর্শনী, যেখানে স্থান পেয়েছেন শুধু নারীরাই।

সমাবেশে ৩টা থেকেই উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী।

৪০ মিনিটের অবস্থান শেষে ফিরে যাওয়ার আগে দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল বৈষম্যহীন সমাজগঠন। কিন্তু ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে সেই চেতনাকে ধ্বংসের প্রচেষ্টা চালানো হয়। স্বাধীনতার পর ৪২ বছরের মধ্যে বেশিরভাগ সময়ই ক্ষমতায় ছিল স্বাধীনতাবিরোধীরা। ফলে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যায়নি।

“আজ তরুণ সমাজ জাগ্রত হয়ে একাত্তরের সেই চেতনা ফিরিয়ে এনেছে। এই গণজাগরণের চেতনা, একাত্তরের চেতনা।”

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী বলেন, “এ প্রজন্মের গণজাগরণ আমাদের সাহসী করেছে। এখন আমরা অনেক আশাবাদী। একাত্তরে নারীদের প্রতি যে লাঞ্ছনা করা হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দেয়ার মাধ্যমে সে লাঞ্ছনার কিছুটা হলেও শোধ হবে।”