তিস্তা চুক্তির প্রতিশ্রুতি পালনে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দৃঢ় ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ।
Published : 03 Mar 2013, 03:07 PM
তিনি রোববার বলেছেন, এজন্য ভারত প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করতেও প্রস্তুত।
শনিবার উত্তর প্রদেশের ফরাক্কাবাদে নিজের নির্বাচনী এলাকায় সভায় সালমান খুরশিদের এই বক্তব্য রোববার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস প্রকাশ করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমি আশা করি বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ শিগগিরই মিটে যাবে। আর তিস্তা নদীর পানির বিষয়ে দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য সংবিধান সংশোধনে ভারত প্রস্তুত রয়েছে।”
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা চুক্তির কথা বলা হচ্ছিল। ২০১১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে এই চুক্তি সইয়ের প্রস্তুতি থাকলেও শেষ মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বেঁকে বসায় তা আটকে যায়।
রাজ্যের মতামতের গুরুত্ব থাকায় নয়া দিল্লি সরকার তিস্তা চুক্তি নিয়ে আর এগোতে পারেনি। তবে দিল্লির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মমতাকে রাজি করিয়ে খুব শিগগিরই তিস্তা চুক্তি হবে।
ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এখন ঢাকা সফরে রয়েছেন। তিনিও রোববার তিস্তা চুক্তি সইয়ের বিষয়ে ঢাকাকে আশ্বস্ত করেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে এ চুক্তি হলে পশ্চিমবঙ্গের ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, মমতা বিরোধিতা করে গেলেও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে দিল্লি।
কর্মকর্তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বছর ভারত সফরের সময়ই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সই হতে পারে।