রাজাকার সাঈদীর ফাঁসির আদেশ

হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

লিটন হায়দারতানিম আহমেদ, , সুলাইমান নিলয় ও গোলাম মুজতবা ধ্রুববিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2013, 06:39 AM
Updated : 28 Feb 2013, 05:00 PM

ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর বৃহস্পতিবার সাঈদীর উপস্থিতিতে জনাকীর্ণ আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে, যার মধ্যে দুটি হত্যাকাণ্ডও রয়েছে।

রায়ের পর তাক্ষণিকভাবে উঠে দাঁড়িয়ে সাঈদী বলেন, এই রায় শাহবাগের আন্দোলনে প্রভাবিত। এই রায়ের বিরুদ্ধে অপিল করা হবে বলেও জানিয়েছেন তারা আইনজীবী।

তবে প্রসিকিউশন এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন এ রায় ঐতিহাসিক।    

রায়ের সঙ্গে সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের বাইরে অপেক্ষমাণ মুক্তিযোদ্ধা, শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে উপস্থিত হাজারো জনতাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসে উচ্ছ্ব্বাস প্রকাশ করে।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বগুড়া, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা-সহিংসতা শুরু করে সাঈদীর দল জামায়াতে ইসলামী, যারা একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল।   

২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে বহু প্রতীক্ষিত এই বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পর যুদ্ধাপরাধের মামলার তৃতীয় রায় এলো। 

প্রথম রায়ে গত ২১ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-২ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ দেয়।

আর একই ট্রাইব্যুনালে ৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়, যা প্রত্যাখ্যান করে সব যুদ্ধাপরাধীরে ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন চলছে সারা দেশে।

রায় উপলক্ষ্যে আগের দিন থেকেই ট্রাইব্যুনাল ঘিরে নেয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়।

ট্রাইব্যুনালে আসা সাংবাদিক ও দর্শনার্থীদেরও কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তল্লাশি চালিয়ে ট্রাইব্যুনালে প্রবেশ করতে দেয়া হয়।  

আগের রায়ের দিনগুলোর মতো এদিনও সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনালের বাইরে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ দিতে দেখা যায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলসহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীদের। জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিতেও স্লোগান দেন তারা।

‘এই রায় দেলুর’

রায় উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাসে করে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হয় সাঈদীকে। তাকে এজলাসে তোলা হয় বেলা ১১টা ৯ মিনিটে। 

রায় ঘোষণার আগে আদালতের এজলাসে তাকে একটি চেয়ারে বিমর্ষ বসে থাকতে দেখা যায়। এসময় তার পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবি, মাথায় খয়েরি রঙের হাতের কাজ করা টুপি ও ডানহাতে কালো চামড়ার বেল্টের ঘড়ি। এ সময় তাকে কিছুটা দুঃচিন্তাগ্রস্ত মনে হচ্ছিল।

সাঈদী কাঠগড়ায় ওঠার পরপরই এজলাসে আসন গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর এবং দুই সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক।

বিচারপতি ফজলে কবীর উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, “এই মামলা যার বিরুদ্ধে তিনি বাংলাদেশে অত্যন্ত সুপরিচিতি। তার ওয়াজ শুনতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করে।” 

“দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কেবল মাওলানা হিসোবেই সুপরিচিত নন, তিনি দুইবার সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছেন।”

“তার আরেকটি পরিচয় হলো, তিনি জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির।”   

এভাবে আসামির পরিচয় দেয়ার পর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, “আজ এখানে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলার রায় হচ্ছে না। দুই বারের সংসদ সদস্য বা জামায়াতের নেতা সাঈদীরও রায় দিচ্ছে না ট্রাইব্যুনাল।”

“আজ যার বিরুদ্ধে মামলার রায় দেয়া হচ্ছে, তাকে জানতে হলে আমাদের চল্লিশ বছর পেছনে তাকাতে হবে। তখন পিরোজপুরে সাঈদীকে মানুষ চিনত দেলু নামে।”  

বিচারপতি ফজলে কবীর বলেন, সেই সময়ের ৩০ বছরের যুবক সাঈদী ছিলেন রাজাকার বাহিনীর একজন সদস্য। উর্দু ভাল বলতে পারতেন বলে পাকিস্তানি সেনাদের সব অপারেশনেই তিনি তাদের সঙ্গে ছিলেন।

যে ২০টি অভিযোগে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিচার হয়েছে তাতে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও নির্যাতনের মতো ঘটনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ট্রাইব্যুনাল।

এরপর রায়ের ১২০ পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্তসার পড়া শুরু করেন বিচারপতি আনোয়ারুল হক। তিনি সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০ অভিযোগের মধ্যে ১, ২, ৩, ৪, ৫ ও ১৩ নম্বর অভিযোগের বিষয়ে রায়ের বক্তব্য পড়েন। এরপর বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন রায়ের দ্বিতীয় অংশে ৬ থেকে ১২ এবং ১৪ থেকে ২০ নম্বর অভিযোগ পর্যূন্ত আদালতের পর্যবেক্ষণ পড়েন।

এরপর চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান ফজলে কবীর।

রায় ঘোষণা শেষে সাঈদীকে আবার কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়।

ট্রাইব্যুনাল ঘিরে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা

যে কারণে ফাঁসি

রায়ে বলা হয়, ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ২০টি ঘটনায় সাঈদীর জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে, তার মধ্যে ১২টিই তারা প্রমাণ করতে পারেনি।

১, ২, ৩, ৪, ৫, ৯, ১২, ১৩, ১৫, ১৭, ১৮ ও ২০ নম্বর অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে পারেনি, যার মধ্যে পিরোজপুর সদর, মাসিমপুর বাসস্ট্যান্ড, পারেরহাট বাজার ও হোগলাবুনিয়ায় গণহত্যা এবং লেখক হুমায়ূন আহমেদ ও মুহম্মদ জাফর ইকবালের বাবা, পিরোজপুরের পুলিশ কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান আহমেদসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনাও ছিল।

ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়, প্রসিকিউশনের যুক্তি তর্কে ৬, ৭, ৮, ১০, ১১, ১৪, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগ সন্দেহাতীতভঅবে প্রমাণিত হয়েছে।

এর মধ্যে ৮ নম্বর অভিযোগে সদর থানার চিতলিয়া গ্রাম থেকে দুজনকে অপহরণের পর একজনকে হত্যা এবং ১০ নম্বর অভিযোগে ইন্দুরকানি থানার উমেদপুর গ্রামের হিন্দুপাড়ায় আরেকজনকে গুলি করে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে সাঈদীকে।

এছাড়া পারেরহাটে লুটপাট, ভাদুরিয়া গ্রামে  অপহরণ, নির্যাতন, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ইন্দুরকানি থানার টেংরাখালী গ্রামে অপহরণ ও নির্যাতন, সদর থানার হোগলাবুনিয়ায় ও পারেরহাট বন্দরে চার নারীকে ধর্ষণ এবং হিন্দুদের ধর্মান্তরে বাধ্য করার ছয়টি ঘটনায় সাঈদীর জড়িত থাকার অভিযোগও আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।

তবে দুটি ঘটনায় ফাঁসির আদেশ হওয়ায় এসব অভিযোগে সাঈদীকে আর কোনো দণ্ড দেয়া হলো না বলে উল্লেখ করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে।

ট্রাইব্যুনালের বাইরে দাঁড়ানো মুক্তিযোদ্ধারা এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

রায়ের প্রতিক্রিয়া

রায়ের পরপরই সাঈদী এজলাসে দাঁড়িয়ে বলেন, এটা বিচারকদের শপথের বিবেচনা দ্বারা দেয়া রায় নয়। শাহবাগের আন্দোলন দ্বারা প্রভাবিত রায়।

পরে তার আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা অবশ্যই আপিল করব। কারণ উনি (সাঈদী) নির্দোষ। উনার বেকসুর খালাস পাওয়ার কথা ছিল। রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে মিথ্যা সাক্ষী উপস্থাপন করে এই রায় পেয়েছে।”

অন্যদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রসিকিউটর হায়দার আলী বলেন, “এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আদালত পূর্ণাঙ্গভাবে পর্যালোচনা করে এ রায় দিয়েছে। আমরা আটটি অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।”

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, “এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। অন্যায় করে যে পার পায় না এ রায়ের মাধ্যমে তা প্রমাণিত হলো।”

আইন মন্ত্রী শফিক আহমেদ সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, চার দশক পরে এ রায় হলেও এর মাধ্যমে জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।

“বিচার নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করার কোনো সুযোগ নেই। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরও আপিল করার সুযোগ রয়েছে।”

শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলন রায়ে কোনো প্রভাব ফেলেছে কি না জানতে চাইলে শফিক আহমেদ বলেন, “বিচারকরা অভিজ্ঞ ও দক্ষ। পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করেই তারা রায় দিয়েছেন। এখানে আন্দোলনের কোনো প্রভাব নেই।”

রায়ের পর জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি সহিংসতা চালাতে পারে- এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইমলাম বলেন, আইন-‍শৃঙ্খলা বাহিনীকে এ ব্যাপারে সতর্ক রাখা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল ‘যে ন্যায় বিচার’ প্রত্যাশা করেছিল, এই রায়ে জনগণ তা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

তবে জামায়াতের জোটসঙ্গী বিএনপির কোনো প্রতিক্রিয়া রায়ের পর পাওয়া যায়নি।

রায়ের সঙ্গ সঙ্গে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে সমবেত হাজারো জনতা উল্লাসে ফেটে পড়ে।

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ও জামায়াত ইসলামী নিষিদ্ধের দাবিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চলমান এ আন্দোলনের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, “এই রায় শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি আমরা উৎসর্গ করলাম। সবাই রাজপথে নেমে জাতির কলঙ্কমুক্তির এই ক্ষণকে উদযাপন করুন।”

মানবতাবিরোধী অপরাধের শাস্তির মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও প্রত্যয় জানান তিনি।

মামলার পূর্বাপর

মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে একাত্তরে জামায়াত নেতা সাঈদীকে পিরোজপুরের মানুষ চিনত ‘দেইল্লা  রাজাকার’ নামে। তিনি যে রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন এবং পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় অংশ নিয়েছেন, প্রসিকিউশন তা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় রায়ে।  

মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুরে হত্যা, লুণ্ঠনসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক সংসদ সদস্য সাঈদীকে।

পরের বছর ১৪ই জুলাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক জামায়াত নেতাদের মধ্যে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধেই সবার আগে অভিযোগ গঠন হয়। একাত্তরে ৩ হাজারেরও বেশি নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যা বা হত্যায় সহযোগিতা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাংচুর ও ধর্মান্তরে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ২০টি ঘটনায় ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তার বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

একই বছরের ৭ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনসহ মোট ২৮ জন রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন।

এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া ১৫ সাক্ষীর জবানবন্দি ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করে। আসামিপক্ষে ১৭ জনের সাফাই সাক্ষ্য শেষ হয় গত ২৩ অক্টোবর।

চলতি বছর ২৯ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন বিচারক।