নিহত খায়রুল ইসলাম (৪০) উপজেলার কদিমচিলান গ্রামের দুলু ডাক্তারের ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
এই রায় প্রত্যাখ্যান করে দুপুরের পর কদিমচিলান গ্রামে মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির।
ওই মিছিল থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর আওয়ামী লীগ কর্মীর বাড়িতে হামলা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
খায়রুল স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও লালপুরের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাঈদীর রায় ঘোষণার পর পরই নাটোর-পাবনা মহাসড়কে কদিমচিলান এলাকায় শিবিরকর্মীরা টহল পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে হামলা চালায়। তারা পিকআপটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পিকআপ থেকে নেমে পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
এ সময় শিবিরকর্মীরা পুলিশ সদস্যদের লাঠিপেটা করে একটি শটগান ও একটি রাইফেল ছিনিয়ে নেয় বলে জানান ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রব।
এরপর শিবির কর্মীরা কদিমচিলান গ্রামের দুলু ডাক্তারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করে বলে জানান এসআই রব।
জামায়াতকর্মীদের হামলায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রব, সাইফুল ইসলাম ও আনিছুর রহমান, হাবিলদার আব্দুল মান্নান, কনস্টেবল সাইদুর রহমানসহ সাত জন আহত হন।
ছিনতাই হওয়া অস্ত্র দুটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে নাটোরের পুলিশ সুপার নাহিদ হোসেন জানিয়েছেন।
এদিকে সদর উপজেলার পিপরুল ইউনিয়ন জামায়াতের আমির জিল্লুর রহমান ও বড়াইগ্রামের বনপাড়া থেকে সাতজন শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।