রাজশাহীতে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের হামলা ও পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
Published : 28 Feb 2013, 08:38 AM
জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমির দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর রায় ঘোষণার পর বেলা পৌনে ৩টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর, মির্জাপুর, মণ্ডলের মোড় এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়।
মতিহার থানার ওসি আব্দুস সোবহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
তিনি জানান, রায় ঘোষণার পর পরই ইসলামী ছাত্রশিবিরের কয়েকশ’ কর্মী বিনোদপুরে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল বের করার চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের বাধা দিলে শিবির কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে থাকে। এক পর্যায়ে তারা অন্তত ১৫ টি হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
পরে পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া দিলে বিনোদপুরের ভিতরে মণ্ডলের মোড়, মির্জাপুর এলাকার দিকে ছড়িয়ে পড়ে জামায়াত কর্মীরা। সেখান থেকে ফের তারা হাতবোম বিস্ফোরণ ঘটায় ও গুলি চালায়।
পুলিশ টিয়ার শেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে ওসি জানান।
হামলায় মতিহার জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হাসনাতসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। এদের মধ্যে আবুল হাসনাত ও কনস্টেবল আশিকুর রহমানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে প্রায় একই সময়ে রাজশাহীর ডিঙ্গাডোবা এলাকায় সিটি বাইপাস সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে জামায়াত কর্মীরা। পুলিশ এসে তাদের সরে যেতে বললে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে এবং হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে দুই পুলিশ আহত হন।
রায় ঘোষণার পর রাজশাহী সিটি ভবনের সামনেও একটি হাত বোমা ফাটানো হয় বলে পুলিশ জানায়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মুনির-উজ-জামান বলেন, রায় ঘোষণার পর নগরীর ডিঙ্গাডোবা ও বিনোদপুর এলাকায় জামায়াত শিবির কর্মীরা ঝটিকা মিছিল বের করে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে আনতে কয়েকশ রাউন্ড টিয়ার শেল ছুড়তে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।”