প্রতক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার চন্ডিদাসগাতিতে রাস্তায় কাঠের গুড়ি ফেলে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা চারিদিক থেকে পুলিশের ইপর ইপপাটকেল ছুঁড়তে থাকে।
এ সময় র্যাব ও পুলিশ টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়লে প্রায় ২৫ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে হাসাপাতালে নেয়ার পথে রাজাখারচরের নুরুল্লা খানের ছেলে মুক্তা (২৫) এবং হাসপাতালে ভর্তির পর চন্ডিদাসগাতি গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে রুহুল আমিন (১৬) মারা যান।
সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের সিনিয়র সার্জন ডা. রব্বান তালুকদার জানান, রুহুল আমিন হাসপাতালে আনার পর মারা যায়।
হাসপাতালে আনার পথেই মৃত্যু হয় মুক্তার।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল লতিফ জানান, ২ শিবিরকর্মী নিহত ও ২৫ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রতিবাদে রোববার সিরাজগঞ্জ জেলায় অর্ধদিবস হরতাল ডাকা হয়েছে।
এছাড়া সকালে হরতাল সমর্থকরা বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ সড়কের নলকা এলাকায় অবস্থান নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে বাঁধা দেয়।
এ সময় পুলিশের সাথে হরতাল সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় ৫ জন আহত হয়। পরে র্যাব গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অপরদিকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বেলকুচি পৌরসভার সামনে শিবির হরতালের সমর্থনে পিকেটিং করতে থাকলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পিকেটারদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পুলিশ সুপার মো. আল-মামুন জানান, পুলিশের উপর হামলা ও নাশকতার অভিযোগে বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ মোট ১৩ জনকে আটক করেছে।