ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক সোহেল মাহমুদ শনিবার রাতে এ তথ্য জানান।
শাহবাগ আন্দোলনের কর্মী রাজীবকে শুক্রবার রাতে মিরপুরের পলাশনগরে হত্যা করা হয়।
কোপানোর জবাই করে হত্যার ধারণার কথা পুলিশ বললেও সোহেল মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আটটি কোপের মধ্যে ছয়টি কোপ এতোই গভীর ছিল যে, এরকম একটি কোপে যে কেউ রক্তক্ষরণ হয়ে মারা যেতে পারেন।”
কোপের গভীরতা কথা বলতে গিযে তিনি বলেন, “এ পযর্ন্ত অনেক ময়নাতদন্ত করেছি। কিন্তু এ রকম নির্মম হত্যাকাণ্ড আমি একটিও দেখিনি।”
বাম গলা, থুতনি, গাল ও মাথার পেছনের অংশ, ঘাড় ও হাতে কোপানো হয়েছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।
তিনি জানান, গলার কোপটি অনেক গভীর হলেও শ্বাসনালী পর্যন্ত যায়নি।
ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা দুটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
মৃতদেহের গলায় গামছা পেঁচানো ছিল বলে জানান পল্লবী থানার ওসি আব্দুল লতিফ শেখ।
রাজীব ব্লগে জামায়াত-শিবিরের স্বরূপ উন্মোচন করে লেখালেখি করতেন। এজন্য তাকে সম্প্রতি একটি ব্লগের পোস্ট থেকে হুমকিও দেয়া হয়।
রাজীবের সমমনা ব্লগাররা বলছেন, জামায়াত-শিবিরই রাজীবকে হত্যা করেছে।
রাজীব যে স্থানটিতে খুন হন, সেখানে ল্যাম্পপোস্টে বাতি ছিল না। ফলে খুনিদের চিহ্নিত করা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা।
ওই এলাকাটিতে জামায়াত-শিবিরের গোপন আস্তানা রয়েছে, বলেন তিনি।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি পুলিশ।
ওই এলাকার চা দোকানি কামাল মিয়া সাংবাদিকদের জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি দোকান বন্ধ করছিলেন। ওই সময় দুজন পথচারী এসে তাকে জানায়, এদিকে একজন মানুষ জখম হয়ে পড়ে আছে।
তারা এলাকার কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি তাদের আগে কখনো দেখেননি।
হত্যার ঘটনায় রাজীবের বাবা ডা. নাজিম উদ্দিন বাদি হয়ে শনিবারে ভোরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেছেন বলেও এসআই কামাল জানান।
পেশায় স্থপতি রাজীব ও তার ভাই পলাশনগরের ওই বাসায় থাকতেন। তার বাবা ও মা থাকেন গাজীপুরের কাপাসিয়ায়।