পাশে দাঁড়ানো আরেকজন বলে উঠেন, এই সমাবেশ করতে টাকা ছড়াতে হয়নি।
এ দু’জনের কথা শুনে পাশে দাঁড়িয়ে রমনা জোনে সহকারী কমিশনার (এসি) শিবলী নোমান হেসে বললেন, সত্যিই বড় খাঁটি কথা বললেন এই দুজন।
মহসিন বলেন, “আওয়ামীলীগ বলেন আর বিএনপি বলেন- দুই দলের সমাবেশ করতে লোক ভাড়া করে আনার রেওয়াজ আছে। তবে আমি শপথ করে বলতে পারি এখানে কাউকে ভাড়ায় আনতে হয়নি।”
লাখো মানুষের কণ্ঠে কাদের মোল্লাসহ সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে প্রকম্পিত হয়েছে শাহবাগ।
সকাল থেকে রাজধানী এবং এর আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকঢোল নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল আর বিভিন্ন বাহনে করে বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থলে জড়ো হতে থাকেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। জমায়েতের চৌহদ্দী কাঁটাবন থেকে শিশুপার্ক, বিএসএমএমইউ থেকে চারুকলা অনুষদ ছাড়িয়ে যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়তে থাকে মানুষের অংশগ্রহণ।
তিনি বলেন, চার রাস্তা ধরে মানুষ তাই অনুমান করতে সমস্যা হচ্ছে। এক রাস্তায় হলে শাহবাগ থেকে শুরু করে প্রেসক্লাব ছাড়িয়ে যেত।
তবে মহাসমাবেশে যে লাখের উপরে মানুষ এসেছে তা পাশে দাঁড়ানো সবাই স্বীকার করলেন।
মহাসমাবেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন জানতে চাইলে শিবলী নোমান বলেন, ১২ পাল্টুন পুলিশ সর্বক্ষণ রয়েছে। এছাড়া আরো ১০ পাল্টুন পুলিশ রিজার্ভে রয়েছে।
তিনি বলেন, সমাবেশে র্যাব, সোয়াট ছাড়াও ছয়শ সাদা পোশাকের পুলিশ রয়েছে।
কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার রায় প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার বিকালে শাহবাগ মোড়ে এই বিক্ষোভের সূচনা করে ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম। এরপর বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা এতে যোগ দেয়। সকাল-দুপুর-রাত বিরামহীন চলছে এই অবস্থান।
বিভিন্ন স্কুল-কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরাও দল বেঁধে যোগ দিয়েছে শাহবাগের কর্মসূচিতে। তাদের প্রায় সবার মাথা আর হাতে লাল-সবুজ পতাকা। আর মুখে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি।
আন্দোলনকারীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল হয়ে ওঠা শাহবাগ ছেড়ে যাচ্ছেন না তারা।