আরব আমিরাতের শ্রমবাজার খুলে দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি অবৈধ অভিবাসীদের রাজক্ষমার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশি জনশক্তির জন্য আরব আমিরাতের শ্রমবাজার আবারো খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

পিএমও প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Jan 2013, 07:17 AM
Updated : 29 Jan 2013, 07:17 AM

তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে প্রকৌশলী, চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিকস,  তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, ব্যবস্থাপনা পরামর্শক এবং দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিক নিতে পারে।

মঙ্গলবার  সকালে আমিরাতের বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী শেখা লুবনা বিনতে খালিদ আল কাসেমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করতে এলে তিনি এ অনুরোধ জানান।

গত বছর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ভুয়া নথি নিয়ে ‘জটিলতা’ এড়াতে বাংলাদেশিদের সব ধরনের ভিসা দেয়া বন্ধ করে দেয় আমিরাত।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আত্তীকরণ ও আবাসন বিভাগের অ্যাসিট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল আল আওয়াদি আল মেনহালিকে উদ্ধৃত করে মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ মাধ্যম গাল্ফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশিদের ভিসা না দেয়ার বিষয়টি সাময়িক, এটা নিষেধাজ্ঞা নয়।

২০১১ সালে বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেছে প্রায় ২ লাখ ৮৭ হাজার কর্মী।

বাংলাদেশে সৌদি আরবের পর সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসে আমিরাত থেকে। ২০১১-১২ অর্থবছরে দেশটি থেকে বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ২৪০ কোটি ডলার।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, তারা গভীর সমুদ্র বন্দর ও জ্বালানি খাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

বৈঠকে বন্দর উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা, নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল, অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো এবং ঢাকা ও মংলা বন্দরের মধ্যে রেল সংযোগে সহযোগিতার বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আগ্রহের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনা।

নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রচলনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী সেদেশের সরকারকে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

এই প্রেক্ষাপটে তিনি আন্তর্জাতিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি সংস্থার (আইআরইএনএ) সদর দপ্তর করার বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষে বাংলাদেশের সমর্থন ব্যক্ত করেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী অটিজম ও অন্যান্য সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের উদ্যোগকে এমিরেটস ফাউন্ডেশনের মতো দাতব্য সংস্থাগুলোর মাধ্যমে সমর্থন ও সহযোগিতা চান।

শেখ খলিফা বিন জায়েদ বাংলাদেশ ইসলামিক স্কুলের ‘জায়েদ ফিউচার এনার্জি প্রাইজ-২০১৩’ জয়ে তিনি আনন্দ প্রকাশ করেন।

অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব শেখ মো. ওয়াহিদ-উজ জামান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামান ও প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।