ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলন্ত বাসে এক পোশাক শ্রমিক ধর্ষিত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Published : 24 Jan 2013, 03:37 PM
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক তরুণী ধর্ষণ নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জে এই ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ বাসের চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তারও করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া দিপু মিয়া (৩২) ও আবুল কাশেম (২৬) গুলিস্তান-মানিকগঞ্জ রুটের শুভযাত্রা পরিবহণের চালক ও হেলপার বলে জানিয়েছেন মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই মেয়ে (১৯) নিজেই বাসের চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছে।”
গ্রেপ্তার কাসেম মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের বিদু মিয়ার ছেলে এবং দিপু একই উপজেলার গুরকি গ্রামের আতরাফ হোসেনের ছেলে।
ওই তরুণীর মামলায় বলা হয়, দুপুর দেড়টার দিকে তিনি পাটুরিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে নবীনগর থেকে শুভযাত্রা পরিবহনের বাসে ওঠেন। তিনি জানতেন না যে বাসটি পাটুরিয়া যাবে না।
মানিকগঞ্জে পৌঁছার পর বাসের সব যাত্রী নেমে গেলেও ওই তরুণী বসে ছিলেন। তখন চালক ও হেলপার পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে বাসটি চালাতে থাকে বলে ওই তরুণী জানান।
মামলায় বলা হয়, পথে চলন্ত গাড়িতে প্রথমে হেলপার কাশেম ধর্ষণ করে এবং পরে চালক দিপুও বাদীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
পরে বাস ঘুরিয়ে ওই তরুণীকে মানিকগঞ্জ সদরের মানরা সেতুর কাছে নামিয়ে দেয়া হয়। তার কান্না দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
ঘটনা শুনে স্থানীয় বাস শ্রমিকরাই চালক দিপুকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে পেয়ে মারধর করে পুলিশে তুলে দেয়।
কাশেম পালিয়ে গেলেও রাত সাড়ে ৮টার দিকে নবীনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মানিকগঞ্জ থানার ওসি জানিয়েছেন।
ধর্ষিত তরুণী মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে রয়েছেন। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আব্দুল মালেক সাংবাদিকদের বলেন, “ডাক্তারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে।”
এই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।