বিক্ষোভ দমনে পুলিশের সাম্প্রতিক ব্যবহৃত অস্ত্র পেপার স্প্রেতে এক শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, এতে মৃত্যুর শঙ্কা নেই।
Published : 16 Jan 2013, 12:30 PM
গত কিছুদিন ধরে পুলিশ পেপার স্প্রে ব্যবহার করছে। শিক্ষকদের বিক্ষোভ দমনে তার ব্যবহারের পর বুধবার বাম দলগুলোর হরতালেও তার ব্যবহার দেখা গেছে।
পেপার স্প্রে ব্যবহারের নির্দেশ দেয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
পেপার স্প্রেতে অসুস্থ হয়ে পড়া এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। গত সোমবার রাতে মারা যাওয়া পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার সেকেন্দার আলী নামে ওই শিক্ষক জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পেপার স্প্রের শিকার হন।
এই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার সচিবালয়ে বলেন, “আগে থেকে জ্বরা না থাকলে পেপার স্প্রেতে কোনো ব্যক্তির মরার সম্ভাবনা নেই। যে শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে, মৃত্যুর পর যদি ময়নাতদন্ত করা হত, তাহলে তা নিশ্চিত হওয়া যেত।”
ঝাঁঝালো এই গ্যাসের ব্যবহারে স্থায়ী অন্ধত্ব ঘটতে পারে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে আন্তজার্তিক কনভেনশন আছে যে অন্ধত্ব ঘটাতে পারে, বন্ধ্যাত্ব ঘটাতে পারে বা বিকলাঙ্গ হয়ে যেতে পারে- এমন জিনিস ব্যবহার করা হয় না।”
এমপিওভুক্তির দাবিতে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পুলিশের দমন-পীড়নের মধ্যে ঢাকায় অবস্থান, ঘেরাও কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে বেসরকারি শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ ‘বাড়াবাড়ি’ বলে অভিযোগ করছেন অনেকে।
এই বিষয়ে মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, “আমি মনে করি বাড়াবাড়ি নয়, আমরা বলেছি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আপনারা দাবি উত্থাপন করেন।
“দাবির নামে তারা ঢাকার এসে যানবাহন বন্ধ করে, রাস্তাঘাট বন্ধ করে দুভোর্গ সৃষ্টি করছেন। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান দায়িত্ব, তাই আমরা দায়িত্ব পালন করছি।”
বুধবারের বামপন্থী দলগুলোর হরতালের প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী বলেন, “এই হরতালের নৈতিক ভিত্তি ছিল না, সফলও হয়নি।”
তবে এই হরতালে সহিংতা ছিল না স্বীকার করে মহীউদ্দীন আলমগীর বলেন, “পুলিশ দুই জায়গায় হস্তক্ষেপ করেছে বলে জেনেছি।”
হরতাল বন্ধে আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা হরতাল বন্ধ করার পক্ষপাতি নই, হরতাল সর্বশেষ রাজনৈতিক অধিকার।