নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করলেন জুলফিকার

চট্টগ্রামের দরবার শরিফ থেকে দুই কোটি টাকা লুটের মামলায় গ্রেপ্তার এই র‌্যাব কর্মকর্তা বলেছেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2012, 12:27 PM
Updated : 3 May 2012, 12:27 PM
চট্টগ্রাম, মে ০৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- চট্টগ্রামের দরবার শরিফ থেকে দুই কোটি টাকা লুটের অভিযোগে গ্রেপ্তার র‌্যাবের সাবেক অধিনায়ক জুলফিকার আলী মজুমদার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানায় আনার পর তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে মগবাজারের ডাক্তার গলির একটি বাসা থেকে জুলফিকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আনোয়ারা থানা পুলিশের একটি দল সড়কপথে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে।
আনোয়ারা থানার ওসি মোহাম্মদ শাজাহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাত সাড়ে ১০টায় জুলফিকারকে থানায় আনা হয়।
তাকে শুক্রবার চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে জানান ওসি।
২০১১ সালের ৪ নভেম্বর আনোয়ারার তালসরা দরবার শরিফে অভিযান চালানোর নামে সেখান থেকে দুই কোটি সাত হাজার টাকা লুটের অভিযোগে গত ১৩ মার্চ র‌্যাবের ১২ সদস্যের নামে একটি মামলা হয়। আনোয়ারা থানার ওই মামলায় র‌্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক জুলফিকার আলীকে করা হয় প্রধান আসামি।
ডাকাতির অভিযোগ ওঠার পর ওই র‌্যাব কর্মকর্তাদের স্ব স্ব বাহিনীতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। র‌্যাবের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স¤প্রতি জুলফিকারকে সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
ওই মামলার অন্যতম আসামি ফ্লাইট লেফটেনেন্ট শেখ মাহামুদুল হাসানের বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত করতে চট্টগ্রামে গিয়ে স¤প্রতি মৃত্যু হয় বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার মামুনুর রশীদের। একটি হোটেল থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
এর অন্যান্য আসামিরা হলেন- ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদুল হাসান, সুবেদার আবুল বাশার, এসআই তরুণ কুমার বসু, এএসআই হাসানুজ্জামান, নায়েক জাহাঙ্গীর হোসেন,সৈনিক লিটন মিয়া, সায়েক সুমন, সৈনিক আশরাফ, ল্যান্স কর্পোরাল জসিম উদ্দিন এবং র‌্যাবরে সোর্স দিদার ও আনোয়ার মিয়া।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমসি/সিএস/এমআই/০০২৭ ঘ.