ব্যয়বহুল ও পরিবেশ দূষণকারী পরিকল্পনা সংশোধনে সরকারের প্রতি তারা আহ্বান জানিয়েছেন।
ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট-এমডি কারাগারে
মুদ্রা পাচার মামলায় ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আমিনসহ তিনজনের জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
Published : 11 Oct 2012, 00:31 AM
Updated : 11 Oct 2012, 00:31 AM
ঢাকা, অক্টোবর ১১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- মুদ্রা পাচারের দুই মামলায় ডেসটিনি-২০০০ এর প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আমিনসহ শীর্ষ তিন কর্মকর্তার জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী কবীর হোসাইন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ডেসটিনির ২২ কর্মকর্তার জামিন বাতিল করে দেয়।
তাদের মধ্যে হারুন-অর-রশিদ, রফিকুল আমিন ও ডেসটিনির চেয়ারম্যান মো. হোসেন বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জহুরুল হক জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে দুদকের পক্ষ থেকে এই তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জহুরুল হকের আদালতে আবেদন করা হলে তিনি তা না শুনে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠাতে বলেন।
দুদকের আইনজীবী আহমেদ আলী সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুই মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে শুনানি হবে।”
জামিন খারিজের পর ডেসটিনি প্রেসিডেন্টসহ তিন কর্মকর্তাকে কারাগারে নেয়ার জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় ফটকে উপস্থিত ২০-২৫জন ডেসটিনি কর্মীর সঙ্গে পুলিশের সামান্য ধস্তাধস্তি হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
সাবেক সেনাশাসক এইচ এম এরশাদের পর হারুন-অর-রশিদই প্রথম সাবেক সোনপ্রধান, যাকে কোনো মামলায় কারাগারে যেতে হলো।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর আদালত যে ২২ জনের জামিন বাতিল করে ‘এখতিয়ার সম্পন্ন’ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল, তাদের মধ্যে ডেসটিনির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা মো. গোফরানুল হক, আবুল কালাম আজাদ ও মো. সাইদ উর রহমানও রয়েছেন।
সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের পর পাচারের অভিযোগে গত ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই ২২ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেশন (এমএলএম) ও ট্রি-প্লান্টেশেন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা অর্থ পাচারের ‘প্রমাণ’ পেয়ে দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলি সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি দায়ের করেন।
মহানগর হাকিম এরফান উল্লাহ আসামিদের সবাইকে জামিন দিলেও এর আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জামিনের ওই আদেশ বাতিল করেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/পিবি/জেকে/১২৫০ ঘ.
এ সম্পর্কিত খবর
এ ঘটনায় এক কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
“যে জাহাজ তাদেরকে ফেরত নিয়ে যেতে আসবে সেই জাহাজে করে নানাভাবে সেখানে আটকে পড়া ১৫০ বাংলাদেশিকেও নিয়ে আসবে।”
হাসপাতালের ফটক, নিচতলার বারান্দা আর গাছের নিচে গরমের মধ্যে শিশুদের নিয়ে বসে ছিলেন বাবা-মায়েরা। বেশিরভাগ শিশুর হাতে দেখা গেল কেনুলা। কেউ কেউ হাঁপাচ্ছে, কেউ কেউ নেতিয়ে পড়েছে।
