কেবল ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) নেতা অনুপ চেটিয়াকে নয়, গুলশান কুমার হত্যা মামলার আসামি দাউদ মার্চেন্টকেও ফেরত চায় ভারত।
Published : 03 Sep 2011, 11:38 AM
১৯৯৭ সালে বলিউডের সঙ্গীত পরিচালক ও প্রযোজক গুলশান কুমারকে হত্যার ঘটনায় নিু আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন আব্দুল রউফ দাউদ মার্চেন্ট ওরফে দাউদ মার্চেন্ট। ২০০৯ সালে ১৪ দিনের পারোলে মুক্তি পাওয়ার পর পালিয়ে যান দাউদ। ওই বছরের ২৮ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশ পুলিশ।
আসামি পলাতক থাকায় গুলশান কুমার হত্যা মামলা এখন বোম্বে হাইকোর্টে ঝুলে আছে। দাউদ মার্চেন্টকে হস্তান্তরের বিষয়টি দ্রুততর করতে বাংলাদেশ সরকারকে ইতিমধ্যে অনুরোধ জানিয়েছে ভারত সরকার।
দিল্লীর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম গত জুলাই মাসে বাংলাদেশ সফরের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের সঙ্গে দাউদের হস্তান্তরের ব্যাপারে আলোচনা করেন। সে সময় উলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়ার বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন তারা।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোনো আসামি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আসন্ন বাংলাদেশ সফরে এ বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগামী মঙ্গলবার দুই দিনের সফরে ঢাকা আসছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।
মুম্বাই পুলিশ গত সোমবার বোম্বে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চকে জানায়, বাংলাদেশ থেকে দাউদকে ফিরিয়ে আনতে আরো কিছু সময় লাগবে। ভারত সরকার এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
দাউদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিলের আবেদন এবং এ মামলার ১৬ অভিযুক্তকে অব্যাহতি না দেওয়ার জন্য মহারাষ্ট্র সরকারের আবেদনের শুনানিতে পুলিশ এ তথ্য জানায়।
শুনানি শেষে দাউদকে ফিরিয়ে আনার জন্য পুলিশকে ছয় সপ্তাহ সময় দেয় আদালত।
মুম্বাইয়ের সঙ্গীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজের স্বত্ত্বাধিকারী গুলশান কুমার ১৯৯৭ সালের ১২ অগাস্ট আন্ধেরি এলাকার একটি মন্দির থেকে বেরিয়ে আসার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এ হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন ভাড়াটে খুনী দাউদ মার্চেন্টকে গ্রেপ্তারের পর ২০০২ সালে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। তবে এ অভিযোগের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করেন দাউদ।
২০০৯ সালের ৩০ মে দাউদকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের জানায়, দাউদ অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান করছিলেন। ভারতের অপরাধ জগতের আলোচিত ডন দাউদ ইব্রাহিম বাংলাদেশে নিজের কর্মকাণ্ড বিস্তারের জন্য দাউদ মার্চেন্টকে এ দেশে পাঠায়।