সাভার, জুলাই ১৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- সাভারের আমিনবাজারে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে ছয় যুবক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে এক জন।
সোমবার ভোররাতে বড়দেশী এলাকার কেবলার চরে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আহত যুবক জানিয়েছেন, তারা ডাকাত নয়। মাদক সেবনের জন্য ওই এলাকায় গিয়েছিলেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র উদ্ধারের কথা বললেও আহত যুবক দাবি করেছেন, তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের অস্ত্র ছিলো না।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আমিনুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাত আনুমানিক পৌনে ২টার দিকে বড়দেশী এলাকার কেবলার চরে সাত সদস্যের এক দল ডাকাত ধারালো অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। স্থানীয়রা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে একত্রিত হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই ছয় জনের মৃত্যু হয়। অন্যজনকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে সাভার থানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে দুটি রাম দা, দুটি চাপাতি ও দুটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুর জানান।
আহত ওই যুবকের নাম আল-আমিন (২২)। তার বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার শিপার পাড় এলাকায়।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাজধানীর মাদার ফুট ওয়্যারের বিক্রয় প্রতিনিধি তিনি। তাছাড়া নিহত ছয় জনই তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
"আমরা সাত বন্ধু মিলে রাতে রিকশা করে দারুসসালাম থেকে পর্বত সিনেমা হলের সামনে নামি। পরে পায়ে হেঁটে গাবতলী ব্রিজ পার হয়ে বড়দেশি বালুর মাঠে এসে মাদক সেবন করি। এরই মধ্যে বেশ কিছু লোক এসে হামলা চালায়", বলেন আল আমিন।
আল আমিন বেঁচে গেলেও তার ছয় বন্ধু ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
তার ভাষ্য অনুযায়ী নিহত ছয় জন হলেন- শ্যামলী এলাকার আমিনুর রহমানের ছেলে শামিম (২২), দারুস সালামের বাসিন্দা বাংলা কলেজের ছাত্র ইব্রাহিম (২৪), শ্যামলী এলাকার বাসিন্দা তেজগাঁও কলেজের ছাত্র টিপু (২৩), দারুস সালাম এলাকার বাসিন্দা সুরুজ মিয়ার ছেলে বাংলা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র শান্ত (২৪), একই কলেজের আরেক ছাত্র পলাশ (২৬) ও শ্যামলী এলাকার বাসিন্দা মনির (২৫)।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র উদ্ধারের কথা বললেও তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের অস্ত্র ছিলো না বলে দাবি করেন আল-আমিন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এএল/এমআই/১২০০ ঘ.