ঢাকা, জুলাই ১৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের অনুমতি চেয়ে বার কাউন্সিলে আবেদন করেছেন মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার জামায়াত নেতারা।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে জামায়াত নেতাদের আইনজীবীরা রোববার বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান বরাবর এই আবেদন করেন।
তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিধানাবলী বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থায় নতুন। এ সংক্রান্ত কোনো আইনী নজিরও অনুপস্থিত। বাংলাদেশের এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোনো আইনজীবী নেই। এ বাস্তবতায় বিচারকে অর্থবহ ও স্বচ্ছ করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিধি-৪২ অনুযায়ী বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের আবেদন করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা কারাগারে রয়েছেন।
এদের মধ্যে সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অপরাধ আমলেও নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১০ আগস্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি হবে। বাকিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত চলছে।
তাজুল ইসলাম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, যুগোস্লাভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট স্লোভোদান মিলোসভিচের আইনজীবী স্টিভেন কিউসি, সিয়েরা লিওনের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডিফেন্স আইনজীবী জন ক্যামেগ, বসনিয়া হার্জেগভিনার যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর টবি ক্যাডম্যান জামায়াত নেতাদের পক্ষে মামলা পরিচালনায় সম্মতি দিয়েছেন।
মুন্সী আহসান কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এই আইনজীবীরা এখন আমাদের উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করছেন। এই আবেদনের মাধ্যমে আমরা তাদের আদালতে আইনজীবী হিসাবে নিয়ে আসতে চাচ্ছি।"
১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গত বছর ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সরকার। ওইদিনই আইনজীবী প্যানেল ও তদন্ত সংস্থা গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএন/এএল/জেকে/১৭৪৫ ঘ.