ঢাকা, জুলাই ১৭ (বিডিনিউজ ্েটায়েন্টিফোর ডটকম)- লিবিয়া ফেরত বাংলাদেশী শ্রমিকদের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে এবং আগামী ২৩ জুলাই থেকে তাদের সরকারি আর্থিক সহায়তা দেয়া শুরু হবে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন রোববার সচিবালয়ে তার দপ্তরে সাংবাদিকদের একথা জানান।
লিবিয়া থেকে ৩৬ হাজার ৫০০ জন বাংলাদেশী দেশে ফিরেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ফেরতের তালিকায় নোয়াখালী জেলা সর্বোচ্চ। এ জেলায় লিবিয়া থেকে ফেরত এসেছে ২ হাজার ১৮৬ জন।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে টাঙ্গাইল জেলা। এ জেলায় ফেরত এসেছে ২৩৯ জন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইএমও) মাধ্যমে লিবিয়া থেকে ফেরত আসাদের অর্থ বিতরণের জন্য গত ১৪ জুন সচিবালয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আইএমও'র চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
রোববার সকালে মন্ত্রী বিদেশ ফেরত শ্রমিকদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের পুনর্বাসন ঋণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি সৌদি আরব ফেরত এক শ্রমিকের হাতে পুনর্বাসন ঋণের ২ লাখ টাকার চেক তুলে দেন।
ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ৭০ কার্যদিবসে রোববার থেকে পুনর্বাসন ঋণ দেয়া শুরু হলো। ইতিমধ্যে অভিবাসন ঋণ দেয়া হয়েছে।
শতকরা ১২ টাকা সুদে বিদেশ ফেরত শ্রমিকদের ঋণ দিচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। ঋণ গ্রহীতাদের সম্পত্তি বন্ধক রেখে প্রাথমিক ভাবে ২ বছরের জন্য ঋণ দেয়া হয় বলে জানান মন্ত্রী।
মালয়েশিয়ায় অবৈধ শ্রমিকদের বৈধতা দিতে নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত টাকার চেয়ে বেশি টাকা ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে বিনা ফি তে নিবন্ধের জন্য চুক্তি হয়েছে। বিষয়টি খোঁজখবর নেয়া হবে।
মালেয়শিয়ায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০ লাখ প্রবাসীর নিবন্ধন করা হচ্ছে। যে কারণে সরকার বিনা ফিতে করতে পারছে না। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ বাংলাদেশীদের বৈধতার জন্য ৩ লাখ বাংলাদেশির নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে ১ আগস্ট থেকে।
ভ্রমণ ভিসা কিংবা শিক্ষার্থী ভিসার নামে মালয়েশিয়ায় গিয়ে বৈধ হওয়ার চেষ্টা করলে তা সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিপদ ডেকে আনবে বলে জানান মন্ত্রী।
যেসব রিক্রুটিং এজেন্সি ভ্রমণ ও শিক্ষার্থী ভিসায় শ্রমিক পাঠাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সুনিদ্দিষ্ট তথ্যের অভাবে রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।
বিডিনিউজ ্েটায়েন্টিফোর ডটকম/এসএইচএ/কেএমএস/১৬২৩ ঘ.