ঢাকা, জুলাই ১৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রাজধানীর উত্তরার আশকোনা এলাকায় খাদে পড়ে যাওয়া বাসটি নয় ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
আশকোনা থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরের দিকে আসা বাসটি রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দুর্ঘটনায় পড়ে। বিকাল পৌনে ৪টায় এটি পুরোপুরি তোলা হয় বলে অগ্নিনির্বাপক বাহিনী জানিয়েছে।
অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর উপসহকারী পরিচালক (গাজিপুর) মো. রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বাসটি তোলার পর আমরা পুরো এলাকায় ডুবুরি দিয়ে পুনরায় তল্লাশি করেও কোনো লাশ পাইনি।"
নিখোঁজ দাবি করেও কেউ আসেনি বলে জানান তিনি। বাসচালক ও সহকারীও পালিয়ে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
দুর্ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ও যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন সকালে ঘটনাস্থলে যান।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ২৭ নম্বর এ বাসটি গাজীপুর-আজিমপুর রুটের। দক্ষিণ খানে গ্যারেজ থেকে এটি গাজীপুর যাচ্ছিলো। পথে কিছু যাত্রী তুলে নেয়।
বাসে অন্তত ২০ জন যাত্রী ছিলো বলে অসিউর রহমান নামে এক আরোহী জানিয়েছেন। বাসটি ডুবে যাওয়ার পর তিনি সাঁতরে কূলে উঠেন।
গাজীপুরের ট্রাস্ট টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষক অসিউর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "গাজীপুর যাওয়ার জন্য আমি দক্ষিণ খানের নর্দা থেকে বাসটিতে উঠি। হাজি ক্যাম্পের কাছে তালতলা এলাকায় এটি গড়িয়ে জলাশয়ে পড়ে যায়। সম্ভবত চালক ঘুমের ঘোরে ছিলো।"
"বাস ডুবে যাওয়ার পর আমিসহ তিন জন একটি জানালার গ্লাস ভেঙে বেরিয়ে আসি। এক মহিলাকেও বেরিয়ে আসতে দেখেছি", বলেন তিনি।
ডুবুরি আবুল খায়ের দুপুরে কয়েক দফা তল্লাশির পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমি কয়েকবার পুরো বাসে তল্লাশি চালিয়েছি। টিফিন বক্স ও ব্যাগ ছাড়া আর কিছু পাইনি। বাসের পাশের ৩০ ফুট এলাকায় তল্লাশি চালিয়েও কোনো মৃতদেহ পাইনি।"
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা এ দুর্ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী বলছেন, সড়কটি খারাপ হওয়ায় সেখানে দুর্ঘটনার শঙ্কা সব সময়ই রয়েছে। নিজের নির্বাচনী এলাকার এ রাস্তার বেহাল অবস্থা নিয়ে সাহারা সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত যোগাযোগমন্ত্রী তখন বলেন, "বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এলএইচ/কেটি/এমআই/১৬২০ ঘ.