শ্যামপুর স্টেশনে রেলওয়ে পুলিশ-যাত্রী সংঘর্ষ, আহত ২৫

রেলওয়ে পুলিশ চলন্ত ট্রেন থেকে এক মহিলা যাত্রীকে ফেলে দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ যাত্রীদের প্রতিবাদের মুখে রংপুরের শ্যামপুর স্টেশনে রেলওয়ে পুলিশ ও যাত্রীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Sept 2010, 02:31 AM
Updated : 10 Sept 2010, 02:31 AM
রংপুর, সেপ্টেম্বর ১০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রেলওয়ে পুলিশ চলন্ত ট্রেন থেকে এক মহিলা যাত্রীকে ফেলে দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ যাত্রীদের প্রতিবাদের মুখে রংপুরের শ্যামপুর স্টেশনে রেলওয়ে পুলিশ ও যাত্রীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে ২৫ জন যাত্রী আহত হয়।
বিক্ষুব্ধ যাত্রীদের প্রতিরোধের মুখে শ্যামপুর রেলওয়ে ষ্টেশনে দুটি ট্রেন আটকা পড়ে। এ ঘটনায় রংপুর-দিনাজপুর ও রংপুর-লালমনিরহাট লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ঈদে ঘরমুখো হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে দিনাজপুর থেকে সান্তাহারগামী দোলনচাপা এক্সপ্রেস ট্রেন রংপুরের বদরগঞ্জ ষ্টেশনে এসে থামলে একজন দরিদ্র মহিলা যাত্রী ট্রেনে ওঠে।
রেলওয়ে পুলিশ ওই মহিলা যাত্রীর কাছে ৫ টাকা দাবি করে। সে ২ টাকা দিলে রেলওয়ে পুলিশ তা নিতে অস্বীকার করে এবং ৫ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
এ নিয়ে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর ট্রেনটি ষ্টেশন ছাড়ার সময় রেলওয়ে পুলিশ ওই মহিলা যাত্রীকে ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে ট্রেনের নীচে পড়ে তার একটি হাত কাটা পড়ে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ট্রেন যাত্রীরা এই নির্দয় ও মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৭ টায় শ্যামপুর ষ্টেশনে এসে থামলে যাত্রীরা বিক্ষোভ শুরু করে।
রেলওয়ে পুলিশ যাত্রীদের বাধা দিলে ক্ষুব্ধ যাত্রীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে ২৫ জন যাত্রী আহত হয় ।
যাত্রীরা মারমুখী হয়ে উঠলে তিন রেলওয়ে পুলিশ স্টেশন মাষ্টারের কক্ষে আশ্রয় নেয়।
যাত্রীরা স্টেশন মাস্টারের কার্যালয় ঘেরাও করে তাদের শাস্তি দাবীতে বিক্ষোভ শুরু করে।
এ ঘটনায় শ্যামপুর ষ্টেশনে দোলনচাপা এক্সপ্রেসসহ দুটি ট্রেন আটকা পড়ে।
শ্যামপুর রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার নজরুল ইসলাম দুটি ট্রেন আটকা পড়ে থাকার কথা জানান ।
তবে রেলওয়ে পুলিশ মহিলা যাত্রীকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।
বদরগঞ্জ থানার ওসি তবারক আলী সরকার জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করা হচ্ছে ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/কেএমএস/১৪১৬ ঘ.