ভোটার প্রতি ব্যয় ১০ টাকা করার পক্ষে ইসি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচনী ব্যয় ভোটার প্রতি দ্বিগুণ করে ১০ টাকা করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 August 2010, 09:27 AM
Updated : 22 August 2010, 09:27 AM
ঢাকা, অগাস্ট ২২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচনী ব্যয় ভোটার প্রতি দ্বিগুণ করে ১০ টাকা করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নতুন করে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণ করার কথা ভাবছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন।
রোববার নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী বর্তমানে ভোটার প্রতি ৫ টাকা ব্যয় করার সুযোগ রয়েছে প্রার্থীদের। তবে সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা নির্ধারিত রয়েছে ১৫ লাখ টাকা।
"নবম সংসদে প্রার্থীদের মধ্যে বাস্তবের চেয়ে বেশি ব্যয় করার প্রবণতা দেখা যাওয়ায় নতুন করে ব্যয় নির্ধারণের কথা ভাবা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ব্যয় ৪০-৫০ লাখের মধ্যে রাখার প্রস্তাবনা রাখা হবে," বলেন এম সাখাওয়াত।
তিনি জানান, ইসি নির্ধারিত ১৫ লাখ টাকার অনেক বেশি অর্থ নির্বাচনে খরচ হয় বলেই এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে কমিশন। নতুন এই আইন 'নির্বাচনী আচরণবিধিতে' যুক্ত করা হবে।
নবম সংসদ নির্বাচনে বাস্তব অর্থে বেশিরভাগ প্রার্থীই ১৫ লাখ টাকার কয়েকগুণ অর্থ খরচ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে জানিয়ে এম সাখাওয়াত বলেন, "নির্বাচনে প্রার্থীদের ব্যয়ের স্বচ্ছতার কথা ভেবে সর্বোচ্চ ব্যয় বাড়ানোর চিন্তা করা হচ্ছে।"
সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের সর্বোচ্চ ব্যয় সাড়ে চার কোটি টাকা হলেও তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করে কমিশন। তাই দলের নির্বাচনী ব্যয়ও বাড়ানোর পক্ষে তারা।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, "প্রার্থীর ব্যয় বাড়ানোর পাশাপাশি দলের নির্বাচনী ব্যয়ও বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে তা সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে।"
আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে, রাজনৈতিক দলগুলোকে রাষ্ট্রীয় অর্থ (স্টেট ফান্ডিং) বরাদ্দ দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
নিবন্ধিত দলগুলোর প্রচারণাসহ আনুষাঙ্গিক কাজে সরকারি অর্থ বরাদ্দ হিসেবে সর্বোচ্চ একশ' থেকে একশ ২০ কোটি টাকা লাগতে পারে বলে ধারণা করে ইসি।
সাখাওয়াত হোসেন জানান, ইসির সার্বিক কর্মপরিকল্পনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পরই নির্বাচনী আইনে সংশোধনী আনা হবে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএইচসি/পিডি/২১২২ ঘ.