হুমায়ুন আজাদ হত্যা চেষ্টা মামলায় সাঈদী গ্রেপ্তার

অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যা চেষ্টা মামলায় কারাবন্দি জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 July 2010, 08:28 AM
Updated : 11 July 2010, 08:28 AM
ঢাকা, জুলাই ১১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যা চেষ্টা মামলায় কারাবন্দি জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সেইসঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
রোববার দুপুরে সিআইডি পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকার এক নম্বর অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সাঈদীকে হুমায়ুন আজাদ হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান।
আদালতের বিচারক এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া সাঈদীকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৫ জুলাই সাঈদীর উপস্থিতিতে শুনানির দিন ধার্য করেন।
২৯ জুলাই জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
পরের দিন পল্টন ও রমনা থানায় দায়ের পাঁচটি মামলায় তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৬ দিন করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম এস কে তোফায়েল হাসান ও তিন নম্বর অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আলী হোসাইন।
রমনা থানায় দায়ের ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় সাঈদীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ জুলাই পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে বাংলা একাডেমীর উল্টো দিকের ফুটপাতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন বহুমাত্রিক লেখক-অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ।
পরদিন তার ছোট ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও হত্যা চেষ্টা আইনে দু'টি মামলা করেন।
২০০৪ সালের ১১ আগস্ট জার্মানির মিউনিখে মারা যান হুমায়ুন আজাদ।
এই মামলায় প্রকৃত আসামিদের অন্তর্ভূক্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি অভিযোগ করে গত বছরের ২০ অক্টোবর মঞ্জুর কবির এই আদালতেই অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন।
পরে হত্যাচেষ্টা মামলাটি বিচারের জন্য এই আদালতে স্থানান্তর করা হয়। অধিকতর তদন্তের আবেদনে বলা হয় "পাকসার জমিন সাদ বাদ" উপন্যাস লেখার কারণে তার উপর হামলা চালানো হয়।
উপন্যাসটি ২০০৩ সালের নভেম্বরে দৈনিক ইত্তেফাকের ইদ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর রমনা থানা পুলিশ ফাঁসিতে দন্ডিত জামাতুল মুজাহিদীন (জেএমবি) নেতা শায়খ আবদুর রহমান, আতাউর রহমান সানি, মিজানুর রহমান মিনহাজ ওরফে শাওন ওরফে হামিম, আনোয়ার আলম খোকা ওরফে ভাগ্নে শহীদকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
ওই হামলার পর হুমায়ুন আজাদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ জন্য সাঈদী, মুজাহিদ ও নিজামীকে পরোক্ষভাবে দায়ি করেন।
আবেদনে বলা হয়, হামলার নির্দেশদাতা ওই তিনজনকে বাইরে রেখে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল।
আদালত এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডি পুলিশকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জেএমবির শুরা সদস্য সালাউদ্দিন, অপর জেএমবি সদস্য হাফেজ মাহমুদকে এই মামলায় হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জেএমবি সদস্য মিনহাজুর রহমান ওরফে শাওনকে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/পিবি/জেবি/এইচএ/২১৩০ ঘ.