ভোলা-৩ এ উপ-নির্বাচন

ভোলা-৩ আসন শূন্য ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রজ্ঞাপন জারির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তা প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যেই এ আসনে উপ-নির্বাচন হবে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2010, 06:40 AM
Updated : 3 Feb 2010, 06:40 AM
ঢাকা, ফেব্র"য়ারি ০৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ভোলা-৩ আসন শূন্য ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রজ্ঞাপন জারির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তা প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যেই এ আসনে উপ-নির্বাচন হবে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার ইসির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন।
গত বছর হাইকোর্ট এক রায়ে ভোলা-৩ এর আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য মো. জসিমউদ্দিনের সদস্য পদ অবৈধ ঘোষণা করে।
চাকরি থেকে অবসরে (বাধ্যতামূলক) যাওয়ার পর পাঁচ বছর অতিবাহিত হওয়ার আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আদালত এ আদেশ দেয়।
এর পর থেকেই নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হাফিজউদ্দিন আহমদ পুনর্নির্বাচন না করে তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করার দাবি করে আসছে।
সাখাওয়াত সাংবাদিকদের বলেন, "হাইকোর্টের রায় অনুসরণে ভোলা-৩ আসন শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্পিকারকে চিঠি দেওয়া হবে। গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে এ আসনে উপনির্বাচন করা হবে।"
ইসি সচিবালয়ের যুগ্মসচিব (আইন) নুরুল ইসলাম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আসন শূন্য করে ইসির সিদ্ধান্তের এই প্রজ্ঞাপন ছাপানোর জন্য বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে। আরেকটি কপি পাঠানো হয়েছে স্পিকারকে।
নুরুল ইসলাম আরো বলেন, "গেজেট আকারে প্রকাশের পর থেকে মো. জসিম উদ্দিন আর সংসদ সদস্য থাকবেন না।"
আসন শূন্য হওয়ার বিষয়ে জাতীয় সংসদের কার্য প্রণালী বিধিতে (১৭৮ এর ২ উপধারা) বলা হয়েছে, ইসি কোনো সদস্যকে অযোগ্য অথবা তার আসন শূন্য ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিলে তিনি আর সদস্য থাকবেন না।
সংবিধান ও নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে হাফিজকে হারিয়ে জসিম উদ্দিন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
কিন্তু সামরিক বাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসরের পাঁচ বছর অতিবাহিত হওয়ার আগেই জসিম নির্বাচন করেছেন- এ অভিযোগে হাফিজ আদালতে মামলা করেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএইচসি/এএল/এমআই/১৮৩০ ঘ.