ভৈরবকে জেলা করার প্রক্রিয়া চলছে: রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান বলেছেন, ভৈরবকে জেলা করার প্রক্রিয়া চলছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2010, 07:48 AM
Updated : 24 Oct 2010, 07:48 AM
কিশোরগঞ্জ, অক্টোবর ২৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান বলেছেন, ভৈরবকে জেলা করার প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি বলেন, "ভৈরব হবে দেশের ৬৫তম জেলা।"
রোববার সকালে ভৈরব হাজী আসমত কলেজ মাঠে এক সুধী সমাবেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, ভৈরবকে জেলা করার উদ্যোগ নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদের সভায় অনুমোদিত হয়েছে। বাকি আনুষ্ঠানিকতা প্রক্রিয়াধীন আছে।
জিল্লুর রহমান বলেন, "ভৈরবের মাটির সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। আমার জন্ম, বেড়ে ওঠাসহ শৈশব, কৈশোর কেটেছে এখানকার আলো-বাতাস গায়ে মেখে।
"আপনারা মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। আমি আজ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। এই গৌরব আপনাদের।"
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের জন্য তিনি সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান আখ্যায়িত করে তাদের কল্যাণে ভৈরবে একটি 'মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স' নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান রাষ্ট্রপতি।
সুধী সমাবেশে ভৈরবের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের দাবি সংবলিত একটি মানপত্র রাষ্ট্রপতিকে দিলে তিনি ওইসব দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
ভৈরব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি'র সভাপতি মো. সায়দুল্লাহ্ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি এম তাজুল ইসলাম, ভৈরব-কুলিয়ারচর আসনের সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ভৈরব শহররক্ষা বাঁধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, এমপি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবন উদ্বোধন, বঙ্গবন্ধু সরণিতে ৬০ ফুট দীর্ঘ রেলওয়ে সেতু প্রশস্তকরণ প্রকল্প এবং জিল্লুর রহমান মহিলা কলেজের শহীদ আইভি রহমান ছাত্রী নিবাসের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপতি সকালে হেলিকপ্টারে ভৈরব স্টেডিয়ামে আসেন। সেখান থেকে তিনি হাজী আসমত কলেজ মাঠে নির্ধারিত মঞ্চে যান।
দুপুরে তিনি তার ভৈরবের বাসা আইভি ভবনে মধ্যাহ্নভোজ সারেন এবং কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন। বিকাল ৪টার দিকে আবার হেলিকপ্টারে বঙ্গভবনের উদ্দেশে ভৈরব ত্যাগ করেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/ডিডি/এমএসবি/১৯৪৬ ঘ.