ঢাকা, জানুয়ারি ২৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- তিস্তাসহ সব অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তি করতে চায় বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস আজ সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন।
সমুদ্রসীমা নির্ধারণে মিয়ানমার ন্যায্যতাভিত্তিক পদ্ধতি মেনে নিতে সম্মত হওয়ায় সাগরে খনিজ অনুসন্ধানে ১৭টি ব্লক হারানোর আশঙ্কাও থাকছে না বলে জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি দুদিন আগে তিস্তার পানি বণ্টনে একটি অস্থায়ী চুক্তির বিষয়ে আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন।
শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মিজারুল বলেন, "আমরা তিস্তার পানি বণ্টনে একটি দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি করতে চাই। কিন্তু সেজন্য হাইড্রোলজিকাল সার্ভে ডাটা প্রয়োজন, যা সময়সাপেক্ষ।
এ কারণে আপাতত এডহক ভিত্তিতে চুক্তি করতে চাই। যা দীর্ঘ মেয়াদে চুক্তির একটি ভিত্তি তৈরি করে দেবে।"
আগামী শুকনো মৌসুমে সঙ্কটে পড়ার আগেই তিস্তা নিয়ে অস্থায়ী চুক্তি করতে চায় ঢাকা।
অভিন্ন ৫৪ নদীর মধ্যে আওয়ামী লীগের এর আগের আমলে গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তি হয়।
গত এক দশক ধরে বাংলাদেশ তিস্তার পানি বণ্টন বিষয়ে একটি চুক্তির জন্য প্রতিবেশী ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে।
১৯৯০ সালে ভারত তিস্তার উজানে বাঁধ নির্মাণ করার পর থেকে ভাটিতে বাংলাদেশ অংশে প্রতিবছর শুকনো মৌসুমে সেচের পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দেয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের এক সপ্তাহ আগে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) সচিব পর্যায়ের বৈঠকে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি ত্বরান্বিত করতে মতৈক্য হয়। সফরে ঢাকা-দিল্লি যৌথ ঘোষণায় মার্চে জেআরসির বৈঠকের কথা বলা হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, শুধু তিস্তা নয়, অভিন্ন সব নদীর পানি বণ্টন নিয়েও চুক্তি করতে চায় বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী তার ভারত সফরে বাংলাদেশকে আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ দেশ তুলে ধরতে পেরেছেন বলে মনে করেন মিজারুল।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/কেআরসি/এমআই/১৪৪৪ ঘ.