স্থায়ী গঠনতন্ত্র: বড় দলগুলো ব্যর্থ হলে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

২৫ জুলাইয়ের মধ্যে বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দল স্থায়ী গঠনতন্ত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে 'বিকল্প' কী করা যায় সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2009, 08:12 AM
Updated : 15 July 2009, 08:12 AM
ঢাকা, জুলাই ১৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দল স্থায়ী গঠনতন্ত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে 'বিকল্প' কী করা যায় সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার বিকালে নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন।
বিএনপি গঠনতন্ত্র জমা দিতে সময় বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বৃহস্পতিবার ইসির সঙ্গে আলোচনা করবে। বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মঙ্গলবার বলেছেন, কাউন্সিল করে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে দলের স্থায়ী গঠনতন্ত্র জমা দেওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে বুধবার আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দলের স্থায়ী গঠনতন্ত্র জমা দেওয়া হবে বলে ইসিকে জানিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, দলের পক্ষ থেকে এক চিঠিতে ইসিকে জানানো হয়েছে যে ২৪ জুলাই দলীয় কাউন্সিলে সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুমোদন করে তা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই জমা দেওয়া হবে। তাই বৃহস্পতিবার ইসির সঙ্গে আওয়ামী লীগের পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকটি হচ্ছে না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ছহুল হোসাইন জানান, বিএনপি'র একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার ইসির সঙ্গে বৈঠক করবে।
তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগ ২৪ জুলাই কাউন্সিল করবে বলে জানিয়েছে। আমরাও চাই তা সফল হোক। সংসদ অধিবেশন শুরুর ছয় মাসের মধ্যে (২৫ জুলাই) স্থায়ী গঠনতন্ত্র জমা দেওয়ার আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু বিএনপি'র মতো বড় দল তা করতে ব্যর্থ হলে আইনের মধ্যে থেকেই তার বিকল্প খুঁজতে হবে। সিইসি'র সঙ্গে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার ইসি এ বিষয়ে 'বিকল্প কী করা যায়' সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।"
এ সম্পর্কে ছহুল আরো বলেন, "আসলে আমরা কোনও দলকে বিপদে ফেলতে চাই না। দলগুলোকে কত সহজে, সুন্দরভাবে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আনা যায়- সে চেষ্টা করা হচ্ছে।"
এর আগে গত রোববার আরেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন মন্তব্য করেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে সংশোধনী আনতে হলে তা সরকারকেই করতে হবে। প্রয়োজনে ইসি এ বিষয়ে সুপারিশ করবে।
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ মুখপাত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন,'' বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল কাউন্সিল অনুষ্ঠানের জন্য সময় বাড়ানোর আবেদন করলে এবং নির্বাচন কমিশন সময় বাড়ালে আওয়ামী লীগের আপত্তি থাকবে না।''
সিইসি গত ১৫ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে দলগুলো স্থায়ী গঠনতন্ত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। তবে সময় বাড়ানোর আবেদন করা হলে ইসি তা বিবেচনা করবে বলেও জানান তিনি।
নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ৩৯টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে সংশোধিত অস্থায়ী গঠনতন্ত্র জমা দিয়ে নিবন্ধন করে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলোকে সংসদ অধিবেশন শুরুর ছয় মাসের মধ্যে দলের গঠনতন্ত্র দলীয়ভাবে অনুমোদন করে তা ইসিতে জমা দিতে হবে। ২৫ জুলাই শেষ হবে ওই সময়সীমা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএইচসি/এইচএ/২১১২ ঘ.