ঢাকা, জুন ৩০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- দেশে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত ৯ জনের মধ্যে ৮ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। নতুন করে পরীক্ষায় তাদের কারো শরীরে এ রোগের ভাইরাস এইচ১এন১ পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, "দেশে নয়জন সোয়াইন ফ্লু রোগী পাওয়া গিয়েছিল। এর মধ্যে ৮ জন পুরোপুরি সুস্থ আছেন; ৭ জন বুধবার থেকেই স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন।"
আক্রান্তরা এখন আর ভাইরাস বহন করছে না জানিয়ে ডা. মাহমুদ বলেন, "ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের বাড়িতে পৃথক রাখা হয়েছিল। এখন তারা আর ভাইরাস বহন করছে না। তাদের কারও শরীরেই আর ভাইরাস (এইচ১এন১) নেই। তারা আর অন্যের জন্য ক্ষতিকরও নন। এমনকি এখন পর্যন্ত তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের শরীরে এ ভাইরাস পাওয়া যায়নি।"
তিনি জানান, সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের বিমান, সমুদ্র ও স্থল বন্দরগুলোতে পর্যবেক্ষণ আরও জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন বন্দরে এ পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।
সর্বশেষ সোমবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা আরও একজনের দেহে সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস পাওয়া যায়। গত সপ্তাহে ওই রোগী দেশে আসেন।
১৯ জুন দেশে প্রথম সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশের রোগীর মধ্যে মারাত্মক লক্ষণ দেখা যায়নি জানিয়ে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, "শ্বাসকষ্টকে সোয়াইফ ফ্লু'র মারাত্মক লক্ষণ বলে বিবেচনা করা হলেও আক্রান্ত কারোর মধ্যে শ্বাসকষ্টের নমুনা ছিল না।"
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ হিসেবে, বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশে সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজারেরও বেশি। মারা গেছে ৩১১ জন। শুধু যুক্তরাষ্ট্রে ১২৭ জন মারা গেছে। মেক্সিকোতে মারা যায় শতাধিক। ।
গত ১১ জুন সোয়াইন ফ্লু-কে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর, কাশি, কফ এ রোগের লক্ষণ। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এই ভাইরাস ছড়ায় বলে বিশেষজ্ঞরা জানান। যত্রতত্র কফ, থুথু না ফেলা ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমআরএফ/এএল/এইচএ/১৮৪০ ঘ.