এই প্রকল্পে প্লট ক্রয়কারীদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ও বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি এম এম রুহুল আমিনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ অবশ্য হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও রিটকারী বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়ের করা তিনটি পৃথক লিভ টু আপিল মঞ্জুর (আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ) করে।
২০০৫ সালের ২৫ জুলাই হাইকোর্ট বেলার দায়ের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্পকে অবৈধ ঘোষণা করে এতে প্লট ক্রয়কারীদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিল।
মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ও রাজউক এই প্রকল্প অবৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল দায়ের করে। অন্যদিকে প্রকল্পে যারা প্লট কিনেছেন তাদের স্বার্থ রক্ষা সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের অংশটুকুর বিরুদ্ধে বেলা লিভ টু আপিল দায়ের করে।
মধুমতি মডেল টাউন কর্তৃপক্ষ ও রাজউক চারটি এবং বেলা একটি লিভ টু আপিল দায়ের করে।
বেলা-র যুক্তি হচ্ছে এ প্রকল্প প্রাকৃতিক বন্যা প্রবাহের আওতাভুক্ত এবং রাজধানীর মাস্টার প্ল্যানের পরিপন্থী।
মধুমতি মডেল টাউন কর্তৃপক্ষের পক্ষে আজমালুল হোসেন কিউসি ও রাজউকের পক্ষে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী শুনানিতে অংশ নেন। বেলার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম।