দুর্যোগের সতর্ক সংকেত পুনর্বিন্যস্ত

ঘুর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় নৌ ও সমুদ্র বন্দরের জন্য ব্যবহৃত সতর্ক সংকেত পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে। প্রচলিত মোট ১৫টি সংকেতকে কমিয়ে আটটি করা হয়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2009, 06:57 AM
Updated : 8 Dec 2009, 06:57 AM
ঢাকা, ডিসেম্বর ০৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ঘুর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় নৌ ও সমুদ্র বন্দরের জন্য ব্যবহৃত সতর্ক সংকেত পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে। প্রচলিত মোট ১৫টি সংকেতকে কমিয়ে আটটি করা হয়েছে।
খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এ পুনর্বিন্যাসের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে নতুন সংকেত ব্যবস্থা প্রচলনের প্রস্তাবও করেছে মন্ত্রণালয়। তবে এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
মঙ্গলবার 'ঘুর্ণিঝড় ও আবহাওয়ার নতুন সংকেত ও গণদুর্যোগ বার্তা' শীর্ষক পুস্তিকার প্রকাশনা উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, আগামী মার্চ পর্যন্ত পুনর্বিন্যস্ত সংকেত ব্যবস্থার বিষয়ে উপকূলীয় এলাকার স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি এবং স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে।
খাদ্য ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ওই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান সাংসদ এমএস আকবর, হুইপ আসম ফিরোজ, সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, স্পারসো'র চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আরজুমান্দ হাবিব।
আরজুমান্দ হাবিব জানান, বাতাসের গতিবেগের ওপর ভিত্তি করে নতুন সর্তক সংকেত তৈরী করা হয়েছে।
সচিব মোখলেছুর রহমান বলেন, ঘুর্ণিঝড়ের সময় পানি কত উচ্চতায় উঠতে পারে এবং সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টিও ভবিষ্যতে এতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ফলে মানুষ দুর্যোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন হয়ে আগাম সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নিতে পারবে।
আব্দুর রাজ্জাক জানান, বর্তমানে প্রচলিত সতর্ক সংকেতগুলো শুধুমাত্র নৌ ও সমুদ্র বন্দরের জন্য। কিন্তু নতুন ব্যবস্থায় এসব সংকেতকে জনকল্যাণে ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নতুন ব্যবস্থায় সমুদ্র বন্দরের জন্য প্রচলিত ৫, ৭ ও ১১ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকছে না। এক্ষেত্রে ১ ও ২ নম্বর সংকেতকে দূরবর্তী সতর্ক সংকেত এবং ৩ ও ৪ নম্বর সংকেত স্থানীয় সতর্ক সংকেত হিসেবে গণ্য হবে। ঘুর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় ৫১ থেকে ৬১ কিলোমিটার গতিবেগের বাতাস ৪ নম্বর সতর্ক সংকেতের আওতায় পড়বে।
৫ নম্বর সতর্ক সংকেতের পরিবর্তে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত কার্যকর থাকবে। ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার বেগের বাতাসসহ সামুদ্রিক ঘুর্ণিঝড় এ সংকেতের আওতায় পড়বে। ৭ নম্বর সতর্ক সংকেতের পরিবর্তে ৮ নম্বর মহা বিপদ সংকেত কার্যকর থাকবে। এক্ষেত্রে ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার গতিবেগের বাতাসসহ প্রচণ্ড সামুদ্রিক ঝড় এর আওতায় পড়বে।
৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় পড়বে ১১৮ থেকে ১৭০ কিলোমিটার গতিবেগের অতি প্রচণ্ড গতিবেগের বাতাসের তীব্রতাসহ সামুদ্রিক ঘুর্ণিঝড়। ১৭১ কিলোমিটারের অতিরিক্ত গতিবেগের বাতাসসহ অতি প্রচণ্ড তীব্রতার সুপার সাইক্লোন পড়বে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায়।
উপকূলীয় জনগণের কাছে সহজবোধ্য করতে ঘুর্ণিঝড়ের তীব্রতার ভিত্তিতে সংকেতগুলোকে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এতে ১ ও ২ নম্বর নম্বর সতর্ক সংকেত শুধুমাত্র সমুদ্র বন্দরের জন্য নির্দিষ্ট রাখা হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমকে/এইচএ/১৯৫২ ঘ.