নিবন্ধন বাতিলের বিধান রেখেই আরপিও পাস

দলের সংশোধিত চূড়ান্ত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা না দিলে নিবন্ধন বাতিলের বিধান রেখেই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) দ্বিতীয় সংশোধনী বিল সংসদে পাস হয়েছে। একই সঙ্গে আইনে গঠনতন্ত্র জমা দেওয়ার সময়ও ছয় মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করা হয়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Nov 2009, 05:33 AM
Updated : 2 Nov 2009, 05:33 AM
ঢাকা, নভেম্বর ২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)--দলের সংশোধিত চূড়ান্ত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা না দিলে নিবন্ধন বাতিলের বিধান রেখেই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) দ্বিতীয় সংশোধনী বিল সংসদে পাস হয়েছে।
একই সঙ্গে আইনে গঠনতন্ত্র জমা দেওয়ার সময়ও ছয় মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করা হয়েছে।
সোমবার সংসদে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ আরপিও'র সংশোধনী বিলটি উত্থাপন করলে স্বতন্ত্র সাংসদ ফজলুল আজিম বিলটির ওপর সংশোধনীর প্রস্তাব এনে বলেন, এখনও একটি প্রধান দল নিবন্ধন করে নি। গঠনতন্ত্র জমা দেওয়ার সময় ১২ মাসের পরিবর্তে ১৮ মাস করার প্রস্তাব রাখেন তিনি।
একই সঙ্গে বলেন, নিবন্ধন বাতিলের মতো ক্ষমতা ইসিকে দেওয়া উচিত নয়।
এ প্রসঙ্গে আইন মন্ত্রী শফিক আহমেদ সংসদকে জানান, রাজনীতিকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত করতেই সংশোধনীগুলো আনা হয়েছে।
ইসিকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তা নমনীয় বলেও মন্তব্য করে তিনি জানান, নিবন্ধন বাতিলের আগে শোকজ ও শুনানির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
এরপর ফজলুল আজিমের আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
এ আইন পাস হওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলো স্থায়ী গঠনতন্ত্র জমা দেওয়ার জন্যে ছয় মাসের বদলে এক বছর সময় পেলো। এ অনুসারে ২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারির মধ্যে কোনো রাজনৈতিক দল তাদের সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা না দিলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে।
এর আগে গত ৪ অক্টোবর বিলটি সংসদে উপস্থাপন করা হয় এবং তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যে আইন, বিচার ও সংসদসম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১২ অক্টোবর সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গঠনতন্ত্র জমা না দিলে 'রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিলের' বিষয়ে বিএনপি আপত্তি জানায়। তবে স্থায়ী কমিটি বিএনপি'র এ আপত্তি গ্রহণ করে নি।
২৪ ফেব্র"য়ারি সংসদে পাস করা আরপিও অনুযায়ী, নবম সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর (২৫ জানুয়ারি) পর ছয় মাসের মধ্যে স্থায়ী গঠনতন্ত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। সে অনুযায়ী গত ২৫ জুলাই ছিল শেষ সময়সীমা। দ্বিতীয় সংশোধনী বিলে এ সময় এক বছর করা হয়।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গঠিত বর্তমান ইসি দেশে প্রথম রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়।
এ সময় গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ মেনে সংশোধিত খসড়া গঠনতন্ত্র দিয়ে ৩৯টি রাজনৈতিক দল ইসির কাছে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধিত হয়।
প্রথম দফা বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ৩৩টি রাজনৈতিক দল ইসিতে স্থায়ী গঠনতন্ত্র জমা দেয়।
তবে বিএনপিসহ বাকি ছয়টি দল এখনও তাদের স্থায়ী গঠনতন্ত্র জমা দেয় নি। তারাই গঠনতন্ত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়াতে ইসির কাছে আবেদন করে।
এরপর ইসি সরকারের কাছে সুপারিশ করলে ১৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদের ৩৯-তম বৈঠকে ১২ মাস সময় দিয়ে ও নিবন্ধন বাতিলের শর্ত জুড়ে দিয়ে প্রস্তাবিত 'গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন ২০০৯' অনুমোদন করে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএম/এমইউএম/কেআরসি/এমএইচসি/পিসি/এসএইচ/১৮৩১ ঘ.