যুদ্ধাপরাধের বিচারে সংসদ সর্বসম্মত

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে সর্বসম্মভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবম জাতীয় সংসদ। সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, "অবশ্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। বিচার হবেই। বিচার আমরা করবই।"

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Jan 2009, 10:19 AM
Updated : 29 Jan 2009, 10:19 AM
ঢাকা, জানুয়ারি ২৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) -- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে সর্বসম্মভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবম জাতীয় সংসদ। সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, "অবশ্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। বিচার হবেই। বিচার আমরা করবই।"
সিলেট-৩ আসনের আওয়ামী লীগ সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।
প্রস্তাব উত্থাপন করে মাহমুদ উস সামদ চৌধুরী বলেন, "৩৮ বছরেও যুদ্দাপরাধীদের বিচার হয়নি। আর দেরি না করে ট্রাইব্যুনাল করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে। এদের বিচার না করলে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আমাদের অভিশাপ দেবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতেই হবে।"
সাতক্ষীরা-১ আসনের সাংসদ শেখ মুজিবুর রহমান ফাঁসিতে ঝুলিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি জানান।
ঢাকা-৮ আসনের রাশেদ খান মেনন বলেন, "অবিলম্বে ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধী বিচার আইন কার্যকর করা হোক। প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়া হোক।"
সংসদীয় রীতি অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলামের আশ্বাসের পর স্পিকার আব্দুল হামিদ এই প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের আহবান জানান। পরে প্রধানমন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন জোটের সিনিয়র সাংসদরা প্রস্তাবকে সমর্থন করলে স্পিকার তা অনুমোদন দেওয়া হবে কিনা এই প্রশ্ন ভোটে দেন। পরে কণ্ঠভোটে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।
এর আগে প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে।"
কণ্ঠভোটের আগে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।"
অবসরপ্রাপ্ত মেজর রফিকুল ইসলাম বলেন, "এই প্রস্তাব থেকে চিহ্নিত শব্দটি বাদ দিতে হবে। কারণ, অনেক যুদ্ধাপরাধী এখনো চিহ্নিত হয়নি। এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়। আমি আমার সামনে আমার মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করতে দেখেছি।"
তোফায়েল আহমদ প্রধানমন্ত্রীকে এ প্রসঙ্গে বক্তব্য দেওয়ার আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিদ্ধান্তকে সংসদের সম্পত্তি করার আহবান জানিয়ে বলেন, "এ বিষয়ে আমরো অনেকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাচনা হয়েছে। বিভিন্ন দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য যারা কাজ করেছেন তাদের 'এক্সপার্ট ওপিনিয়ন' নিতে আমরা ইতোমধ্যেই যোগাযোগ করেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও উদ্যোগ নিচ্ছে।"
এরপরই স্পিকার আব্দুল হামিদ সিদ্ধান্তটি অনুমোদনের জন্য কণ্ঠভোটে দেন।
এই সিদ্ধান্তের ওপর আলোচনায় আরও অংশ নেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের উপ অধিনায়ক এ কে খন্দকার, ফজলে হোসেন বাদশা, কে এইচ রশিদুজ্জামান, টিপু মুন্সী ও রহমত উল্লাহ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসইউএম/কেআরসি/ডিডি/জিএনএ/২২১১ ঘ.