দুবলারচর জেলেপল্লী থেকে আটটি হাঙর আটক

সুন্দরবনের দুবলারচর জেলেপল্লীতে অভিযান চালিয়ে আটটি হাঙরসহ একটি মাছ ধরার ট্রলার আটক করা হয়েছে। সোমবার বিকালে কোস্টগার্ড ও সুন্দরবন বিভাগের একটি যৌথদল দুবলা জেলেপল্লীতে অভিযান চালিয়ে হাঙরসহ ট্রলারটি আটক করে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Feb 2008, 05:33 AM
Updated : 5 Feb 2008, 05:33 AM
বাগেরহাট, ফেব্র"য়ারি ৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)-- সুন্দরবনের দুবলারচর জেলেপল্লীতে অভিযান চালিয়ে আটটি হাঙরসহ একটি মাছ ধরার ট্রলার আটক করা হয়েছে। সোমবার বিকালে কোস্টগার্ড ও সুন্দরবন বিভাগের একটি যৌথদল দুবলা জেলেপল্লীতে অভিযান চালিয়ে হাঙরসহ ট্রলারটি আটক করে।
মঙ্গলবার সকালে কোস্টগার্ড হাঙরসহ ট্রলারটি সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ঢাংমারী ফরেস্ট স্টেশনে হস্তান্তর করেছে। উদ্ধার করা বিভিন্ন আকারের এই হাঙরগুলোর মোট ওজন দশ মণ।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস.এম. শহীদুল্লাহ জানান, হাঙর ধরার জন্য কোন পাশ জেলেদের দেওয়া হয় না। তবু জেলেরা বিশেষ ধরনের জাল দিয়ে হাঙর শিকার করে থাকে। আটককৃত মৃত হাঙরগুলো নিলামে বিক্রি করা হবে।
হাঙর শিকার নিষিদ্ধ কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "এ বিষয়ে আরও খোঁজ না নিয়ে কিছু বলা সম্ভব না।"
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে এক সময় হাঙরের শুকনো পাখনা (শার্ক ফিন) বিদেশে রপ্তানি হতো। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে রপ্তানি নিষিদ্ধ রয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে বিশেষ ধরনের স্যুপ ও বিভিন্ন ঔষধ তৈরির উপকরণ হিসাবে শার্ক ফিন বা হাঙরের পাখনার বিশেষ চাহিদা রয়েছে।
দুবলারচর জেলেপল্লীসহ গভীর সমূদ্রে মৎস্য আহরণকারী জেলেরা প্রতি বছর পাখনা বা ফিন সংগ্রহের জন্য বঙ্গোপসাগরে ব্ল্যাক টিপ, হোয়াইট শার্ক, ব্লু সার্ক, টাইগার সার্ক, হ্যামার হেডেড, স্ হেডেড শার্ক প্রভৃতি বিভিন্ন প্রজাতির হাঙর শিকার করে থাকে।
বাংলাদেশের জেলেরা হাঙরের শরীর থেকে পাখনা সংগ্রহের পর মৃত হাঙর সাগরে ফেলে দেয়। এভাবে প্রতি বছর বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশি জলসীমায় বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য হাঙর হত্যা করে কয়েক টন হাঙরের পাখনা সংগ্রহ করে তা বিদেশে পাঠানো হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/কিউএইচ/এমএসবি/১৭২৪ ঘ.